শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে সাহায্য করেছেন শাকিল-রুপা: ওমর ফারুক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম

সাংবাদিক দম্পত্তি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ।
সাংবাদিক দম্পত্তি ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে সাহায্য করেছেন বলে আদালতে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি বলেন, শাকিল ও রুপা শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে সাহায্য করেছে। সরকারকে আরো কঠোর হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালাতে টেলিভিশনে টকশো করে জনমত তৈরি করেছেন। সাংবাদিকদের আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা করেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর আদাবরে গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলার শুনানি হয়। এসময় আইনজীবীদের তোপের মুখে পড়েন গোলাপ ও রুপা। পরে গোলাপের ৭ দিন এবং সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও রুপার ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
৫টা ১২ মিনিটে আদালতের বিচারকাজ শুরু হলে প্রথমে শাকিল ও রুপাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর তিন আসামির রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, গোলাপ এই মামলার এজাহারের ৭৫ নম্বর আসামি। আর শাকিল-রুপা তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি। তারা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
আরো পড়ুন : সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সাংবাদিকতা করেছি: শাকিল আহমেদ
বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টারে চলাফেরা করেন। গোলাপ অবৈধ সংসদের অনির্বাচিত সদস্য। পিয়ন যদি ৪০০ কোটি টাকার মালিক হন, গোলাপ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। টাকা পাচার করেছেন, বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালাতে প্ররোচনা দিয়েছেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় পোশাককর্মী ফজলুল করিমকে হত্যা মামলায় গত ২২ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা ও হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
গত ২২ আগস্ট গার্মেন্টস কর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।