উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

জিয়াউর রহমান রিন্টু, যশোর শহর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদসহ উপাচার্যের অনুসারীদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটায় যবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রী হল, বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবন প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনে যায়। সেখানে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা উপাচার্য ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা যায়, বিক্ষোভের পূর্বে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের বঙ্গবন্ধু ম্যাুরাল, ছাত্রী হলের সামনের শেখ হাসিনা ম্যাুরাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের বঙ্গবন্ধুর নাম ও বঙ্গবন্ধু একাডেমিকের গ্যালারির সামনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে। এছাড়াও শেখ হাসিনা কর্তৃক বিভিন্ন ভবনের উদ্বোধন ফলকগুলোও ভেঙে দেয়।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ উসামাহ বলেন, আমরা আমাদের দেশ থেকে স্বৈরাচার দূর করতে পারলেও আমরা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে এখনো পর্যন্ত স্বৈরাচার দূর করতে পারিনি। আমাদের এই ভিসির কাছে কোনো দাবি নাই কারণ এই স্বৈরাচার দালালের কাছে কোনো প্রকার দাবি আমরা রাখতে চাইনা। তাই আমাদের এই আন্দোলনের একটাই মাত্র দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রকার স্বৈরাচার ভিসি, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, শিক্ষর সমিতি সভাপতিসহ সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।
আরো পড়ুন: ফের শুরু হলো টেন মিনিট স্কুল
বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ম্যাুরাল ভাঙচুরের বিষয়ে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন বলেন, আমাদের আজকের কর্মসূচি ছিল এই খুনি হাসিনার পরিবারের সব চিহ্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুছে দেয়া। আমরা সফল ভাবে তা করেছি। তবে আমরা ক্যাম্পাসের কোনো ভবনের ক্ষতি করিনি। আমরা ছাত্রী হলেও প্রবেশ করিনি শুধু বাইরের খুনি হাসিনার মুরাল ভাঙ্গা হয়েছে। জিনোম সেন্টারে খুনি হাসিনার উদ্বোধনী ফলক ভাঙ্গা হয়েছে। জিনোম সেন্টারের ভিতরে কোনো শিক্ষার্থী প্রবেশ করেনি। অনেকে বলছেন যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করছি যেটা সম্পূর্ণ গুজব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্ষতি হয় সেটা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী চাইবে না। আবার অনেকে বলছেন আমরা শিবির বা ছাত্রদল থেকে এই আন্দোলন করছি। তাদের জন্য বলি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রকার রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ তাই আমাদের বিরুদ্ধে এরকম গুজব ছড়ানো বন্ধ করুন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ট্যাগ দিলে তারা তাদের কর্মসূচি থেকে সরে যাবে না। আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলনকে যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে তাদের প্রত্যেকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। আমি শিক্ষার্থীদের বলব আপনারা দলে দলে বিভক্ত না হয়ে সবাই একত্র হয়ে কর্মসূচি পালন করি, আমাদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের কাউকে সুযোগ দিবেন না।
ইএসটি বিভাগের হাবিব আহমেদ শান, আমারা আগামীকাল (বুধবার ১৪ আগস্ট) সকাল এগারোটায় 'মার্চ টু প্রশাসনিক ভবন' ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। আপনাদের সবাইকে আমরা অনুরোধ করবো আমাদের আগামী দিনের কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে আসুন। এই স্বৈরাচার ভিসি ও তার দালালদের পদত্যাগের দাবিতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন।