ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ
আমরা কোনো আধুনিক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বানাবো না

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেছেন, আমরা কোনো আধুনিক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বানাবো না। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার লভ্যাংশ নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ।
বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে পার্থ বলেন, প্রতিবছর গ্রামীণফোনের মতো অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশ নিয়ে যায়। কিন্তু তারা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়নে হাসপাতাল বা স্কুল নির্মাণের মতো উদ্যোগ নেয় না। এখন সময় এসেছে দেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠা করার। আমাদের সংবিধানে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির (সিএসআর) বিষয়টি সংযুক্ত করা উচিত।
পার্থ আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, মা দিবসের মতো বিভিন্ন আবেগঘন দিনকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞাপন তৈরি করে, কিন্তু বন্যা বা কোভিড-১৯ এর মতো জাতীয় সংকটের সময় তাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায় না। আধুনিক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমরা হতে দেব না। এটা ওপেন মার্কেট, ব্যবসা করুন, কিন্তু লাভের একটি অংশ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করুন।
গ্রামীণফোনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে গ্রামীণফোন ১০ হাজার কোটি টাকা লাভ করে নিয়ে যায়। তার ৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৫০০ কোটি টাকাও যদি দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে হাসপাতাল, স্কুল নির্মাণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য কাজ করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, আমি চাই সিএসআর কার্যক্রমের বাধ্যবাধকতা সংবিধানে থাকুক। এভাবে লাভ নিয়ে যেতে চাইলে দেশকে উন্নয়নেও কিছু ফিরিয়ে দিতে হবে।
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে রাখা উচিত
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, যে রাজনৈতিক দল গণহত্যা ও মানুষ হত্যার সঙ্গে যুক্ত, তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। এমন দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে রাখা উচিত।
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের দুর্নীতির জন্য দেশের মানসম্মান বিদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যাদের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন থাকা উচিত। তারা সাধারণ চোর নয়, বিশেষ চোর। এজন্য অর্থনৈতিক রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পাস করা প্রয়োজন।