পশ্চিমবঙ্গে আলোচনা তুঙ্গে: বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন শোভন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৯:০৯ এএম

বৈশাখীকে সিঁদুর পরাচ্ছেন শোভন
বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিবিদ শোভন চট্টোপাধ্যায়। এর মাধ্যমে কী শোভনকে বিয়ের ইঙ্গিত দিলেন বৈশাখী?
বৈশাখী বলেন, সেটি সময়ই বলে দেবে।
দুর্গাপূজার আগে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল ‘তা তা থৈ থৈ’ গানের সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর নাচের ভিডিও।তখন থেকেই সংবাদমাধ্যমে তাদের সম্পর্কে গুঞ্জন ওঠে। এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেছিলেন, ৯-৯ করে ১৩ বছর হয়ে গেল আমাদের সম্পর্কের।
জানা গেছে, শোভন যখন কারাগারে ছিলেন তখন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে বৈশাখী কী শোভনের প্রেমে পড়েছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শোভনকে মানুষ হিসাবে আমি কদর করেছি। তাকে সম্মান করেছি। শোভন বাইরে প্রচণ্ড দাপুটে মেয়র, কিন্তু বাড়ি এসে যখন আমার সঙ্গে এক হয়, তখন আমার কোনোদিন মনে হয়নি যে, সে আমার চেয়ে বয়সে কতটা বড়।
সাক্ষাৎকারে বৈশাখী আরও জানান, শোভন আমাকে একটা কথা বলেছিল, আমি যার হাত ধরি তার হাত ছাড়ি না।
পাশে থেকে শোভনও বলে উঠেছিলেন, আমি যাকে বুক দেখাই, তাকে পিঠ দেখাই না।
অন্যদিকে মনোজিত মণ্ডলের সঙ্গে বৈশাখীর সম্পর্ক একেবারেই শীতল বলা যায়। কেননা বৈশাখী দাবি করেছেন, মনোজিত যেন তার সঙ্গে ওঠাবসা করছেন না। তার জীবনে অন্য কেউ চলে এসেছে। দীর্ঘ দিন সংসার করার পর তিনি বলেন, কোনো সম্পর্কই জোর করে আটকে রাখায় তিনি বিশ্বাস করেন না। শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর সময় তিনি মনোজিৎকে সবটাই জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি বৈশাখীর দাবি, বর্তমানে একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনোজিৎ। তাদের দ্রুত বিয়ে করে ফেলা বা একসঙ্গে থাকা উচিত বলেও মনে করেন বৈশাখী। কারণ অন্যরা তাকে এসে বলছেন, তোমার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে ঘুরছেন।
ভারতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনোজিত বলেন, গত তিন বছর ধরে তিনি ও বৈশাখী একসঙ্গে থাকছেন না। তারা স্বেচ্ছায় আলাদা হচ্ছেন এমন লিখিত বয়ানও আছে বলে দাবি করেছেন মনোজিত। তার বক্তব্য, তিনি একা থাকবেন নাকি অন্য কারও সঙ্গে থাকবেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, বৈশাখী দাবি করেছেন যে শারীরিকভাবে অসুস্থ মনোজিতকে মুক্তি দেওয়া দরকার। এ প্রসঙ্গে মনোজিত বৈশাখীকে ‘খাতা-কলমে স্ত্রী’ হিসেবে দাবি করেন।
১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংসার করেছেন মনোজিত ও বৈশাখী। মনোজিত মণ্ডল পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার সঙ্গেও তার আছে সখ্যতা। অন্যদিকে বৈশাখী কলেজে অধ্যাপনা থেকে কয়েক বছর আগে অব্যাহতি নিয়েছেন।