বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৫৭ পিএম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইবোলা মহামারি ছড়িয়েছিলো। সে সময় ইবোলার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য অনেক কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই সময় একাধিক নারী কর্মীকে যৌনতার বিনিময়ে চাকরির শর্ত দেয়া হয়েছিলো। বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগেই নারীদের যৌন হেনস্থার বিষয়টি টের পেয়েছিলো। তার ভিত্তিতেই তদন্ত কমিটি তৈরি করে। সম্প্রতি ওই তদন্ত কমিটির একটি প্রতিবেদন সামনে এসেছে। ৩৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে নারী কর্মীদের একাধিক অভিযোগের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৮০টি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্ত প্রায় ২০ জন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মী। এর মধ্যে বেশিরভাগই কঙ্গোর নাগরিক। অন্তত ৩০ জন সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে ৫১ জন নারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও ইউনিসেফ, অক্সফ্যামের মতো সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।
আক্রান্ত নারীরা অভিযোগ করেছেন, ইবোলার সময় কিছু চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ইবোলার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সাময়িক সময়ের শর্তে বহু স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অভিযুক্ত কর্মীরা সে সময় বহু চাকরিপ্রার্থী নারীর ইন্টারভিউ নেয়। তাদেরকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে তাদের আপত্তি আছে কি না। যৌন সংসর্গ করলে পদোন্নতির আশ্বাসও দেয়া হয়।
আক্রান্ত নারীদের কেউ কেউ বলেন, কাজের প্রয়োজনে তারা ওই সময় রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগে তাদের ধর্ষণও করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, যে ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ, তাদের বেশিরভাগই অস্থায়ী কর্মকর্তা। অর্থাৎ, তাদেরকেও ইবোলা মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত নিয়োগ করা হয়েছিল। সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
কঙ্গোতে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা সবার মনে কেবল একটি প্রশ্ন উঠিয়েছে- পৃথিবীর অন্য অঞ্চলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে না তো?