মার্শা বার্নিকাটসহ ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বললেন ট্রাম্পের সহযোগীরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ তিনজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিককে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় এবং জনবল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ট্রাম্পের এই সহযোগীরা এই নির্দেশ দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, মার্শা বার্নিকাট ছাড়া বাকি দুই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হলেন-ডেরেক হোগান ও আলেইনা তেপলিৎজ।
ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বহরে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলা নতুন প্রশাসনের পরিকল্পিত রদবদলেরই ইঙ্গিত দেয়। আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। যদিও নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ‘ডিপ স্টেটকে মুছে ফেলতে’ অনুগত নয়, এমন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে সচরাচর দেখা যায়, প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত নিজেদের দায়িত্ব চালিয়ে যান। এখন যে তিনজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদ ছাড়তে বলা হয়েছে, তারা ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় প্রশাসনে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন, করছেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উদ্বেগের বিষয় হলো, এটা আরো বড় ধরনের খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণ-সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী দলের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, 'আমাদের জাতি এবং আমেরিকার কর্মজীবী নারী-পুরুষকে প্রথমে রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করেন, এমন কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে অন্তর্বর্তী দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করাটা খুবই স্বাভাবিক।'
তিনি আরো বলেন, 'আমাদের অনেক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য একই লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি ভাগাভাগি করেন, এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি দল গঠন করা প্রয়োজন। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে। এছাড়া পদত্যাগ করতে বলা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের কেউই প্রতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধে সাড়া দেননি।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, হোগান স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী সচিব। তিনি বিভাগীয় বিভিন্ন দপ্তর এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যে তথ্যপ্রবাহ পরিচালনা করেন। বার্নিকাট ইউএস ফরেন সার্ভিসের মহাপরিচালক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্টের পরিচালক। তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টে কর্মী নিয়োগ, নিয়োগ প্রদান এবং কর্মজীবন উন্নয়ন পরিচালনা করেন। সহকারী সেক্রেটারি তেপলিৎজ তিন দশকের বেশি সময় ধরে স্টেট ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন এবং তিনি বিদেশে ও ওয়াশিংটনে দায়িত্ব পালন করেছেন।