ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় থেকে জিম্মিমুক্তি বিষয়ে শেষ মুহূর্তের জটিলতা কাটিয়ে ওঠা এবং এ নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যস্থতাকারী দল নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, জিম্মি মুক্তি নিয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠকের আগে শুক্রবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বৈঠক হবে।

এতে আরো বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে আমাদের সব জিম্মিকে জীবিত ও মৃত ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চুক্তি সম্পর্কে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে এবং তাদের ফেরত আনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

নেতানিয়াহুর আজকের এ বক্তব্যের আগে তার দপ্তর বলেছিল, গাজায় ১৫ মাসের যুদ্ধের ইতি টানতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়টি শেষ মুহূর্তের জটিলতায় আটকে গেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, জটিলতার অবসান ঘটায় আজই (শুক্রবার) তিনি তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকছেন। এরপর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দেবে সরকার।

আরো পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৭৩

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দোহায় ইসরায়েল, হামাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

এর আগে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেন। এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি বলেন, এই চুক্তি ১৯ জানুয়ারি (রবিবার) থেকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

একইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, হামাস সব শর্তে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করবে না তার মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে চাইছে। তবে হামাস এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। 

সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা ইজ্জাত আল-রিশক বলেন, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।