দুর্ঘটনার কবলে তিন বিমান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
সারাবিশ্বে দিন দিন বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে পৃথিবী। এতে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনটি যেন বিমান দুর্ঘটনার জন্য একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকল। একদিনেই বিশ্বজুড়ে ঘটেছে তিনটি আলাদা বিমান দুর্ঘটনা। এর মধ্যে কানাডা ও নরওয়ের দুর্ঘটনায় প্রাণহানী না হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্ঘটনা ছিল ভয়াবহ।
দক্ষিণ কোরিয়ার মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু নিয়ে বিমানটি অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনই প্রাণ হারান। জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে মাত্র দুইজনকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিমানবন্দরে নামার মুহূর্তে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ এই সংবাদ নিশ্চিত করেছে।
কানাডার হালিফাস্কে রানওয়ে দুর্ঘটনা
একই দিনে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে পিছলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসি২২৫৯ ফ্লাইটটি সেন্ট জন’স থেকে হালিফাস্ক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে পিছলে যায় এবং বিমানের একটি অংশে আগুন ধরে যায়।
ঘটনার পর হালিফাস্ক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, রানওয়েতে ছুটে চলা বিমানের একটি অংশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
নরওয়ের জরুরি অবতরণ
রবিবার নরওয়েতেও আরেকটি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের কেএল১২০৪ ফ্লাইটটি নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নরওয়ের টর্প সানডেফজর্ড বিমানবন্দরে ফিরে আসে।
বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। তবে সৌভাগ্যক্রমে বিমানে থাকা ১৮২ জন যাত্রীর কেউ আহত হননি। রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল।
সম্প্রতি আরো একটি দুর্ঘটনা
রবিবারের এই তিনটি দুর্ঘটনার আগে, কয়েক দিন আগেই কাজাখস্তানে আরেকটি বড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৩৮ জন প্রাণ হারান।
বিশ্বজুড়ে এমন একের পর এক বিমান দুর্ঘটনা কেবলই প্রযুক্তিগত ত্রুটি, অব্যবস্থাপনা এবং মানবিক ভুলেরই উদাহরণ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে আরো নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের তাগিদ দিচ্ছে।