তিক্ততা কমাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠছে। সন্ত্রাসী আক্রমণ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানো ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে আলোচনা করতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির সঙ্গে দেখা করেছেন পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাদিক।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে মুত্তাকির দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এই প্রতিনিধিদল দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। এই দুটি দেশের মধ্যে প্রায় ২,৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এছাড়া তালেবানের প্রধান কূটনীতিক বলেন, কাবুল ইসলমাবাদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায়।
বিস্তারিত কিছু না বলে আমির খান মুত্তাকি বলেন, বাণিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্কের আরও উন্নয়নের জন্য উভয় সরকারকে পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াতে হবে। সীমান্ত পারপারের জন্য ভ্রমণকারীদের সুবিধা দিতে হবে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে যে বিষয়গুলো সম্পর্ককে টান টান করে রেখেছে সেগুলোর সুরাহা করতে হবে।
পাকিস্তানের বিশেষ দূত সাদিক বলেন, তার মিশন ছিল দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বানিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্ককে উন্নত করা।
এছাড়া তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স—এ লেখেন, ব্যাপক আলোচনা করেছি। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরালো করতে এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির জন্য একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটপি’র সন্ত্রাসী আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার পাকিস্তানি সামরিক ও বেসমরিক লোকজনকে হত্য করেছে যার ফলে দু দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে।
হাক্কানির দপ্তর তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের দুটি দেশের মধ্যে সম্পরের সুরক্ষার জন্য আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করতে হবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয় তিনি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি নিস্পত্তির জন্য যাতে দ্রুত যৌথ প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা যা তার ওপর জোর দেন। তালিবান নেতারা অবশ্য বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন যে, আফগান অঞ্চলকে আক্রমণের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা পাকিস্তানের সহিংসতাকে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বলেই অভিহিত করেন।