ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় রদবদল

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ এএম

গত সোমবার অর্থমন্ত্রী আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর শঙ্কার মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল এনেছেস কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং পরে নতুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ট্রুডো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর এপির।
কানাডায় ট্রুডোর নেতৃত্ব নিয়ে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মুখে গত সোমবার অর্থমন্ত্রী আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সম্প্রতি বিভিন্ন জরিপে ট্রুডোর প্রতি জনসমর্থন কমার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। নিজ দলের মধ্যেও বেড়েছে তার বিরোধিতা।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিকে বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকি দিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি মোকাবিলায় নীতি নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। এসবের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ কানাডার রাজনীতিকে আরো অস্থির করে তুলেছে। নীতি নির্ধারণে মতবিরোধ ও অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর পার্লামেন্টে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন ট্রুডো। অবিলম্বে ট্রুডোকেও পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
আরো পড়ুন : ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কানাডার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য ‘শুল্ক যুদ্ধের’ শঙ্কা জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। প্রতিনিয়তই আরো জোরালো হচ্ছে ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি। এ অবস্থায় কানাডার পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হলে ট্রুডোকে নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন দিতে হতে পারে। লিবারেল আইনপ্রণেতাদের একটি বড় অংশ ট্রুডোকে পদত্যাগের আহ্বান জানালেও নতুন অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক বৃহস্পতিবার বলেছেন, ট্রুডোর প্রতি তার মন্ত্রিসভার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তবে লেব্ল্যাঙ্ক বলেছেন, যেসব লিবারেল আইনপ্রণেতা ট্রুডোর পদত্যাগ চান- তাদের মতামতকে তিনি সম্মান করেন। লেব্ল্যাঙ্ক জানিয়েছেন, আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে হুমকি দিয়েছেন, সরকার তা মোকাবিলায় কাজ করে যাবে।