উপদেষ্টা মাহফুজের সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ভারতের আসাম-ত্রিপুরাসহ ভারতের কিছু অংশ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। যদিও সেই স্ট্যাটাসটি তার ওই ভেরিফায়েড আইডিতে এখন আর নেই। তবে তার সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তার এমন মন্তব্যের ব্যাপারে আমি অবগত নই। আপনি আমাকে যা পড়ে শোনালেন এর বাইরে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সাধারণ নিয়মানুসারে আমি যে ব্যাপারটি দেখিনি তা নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় পৌনে তিনশ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন ম্যাথিউ মিলার।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এরপর ওই প্রশ্নকারী সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে কিছু কি বলবেন? ম্যাথিউ মিলার বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কোনো কথা বলবেন না।
এরপর প্রশ্নকারী বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। আগের সরকারকে যেমন বলেছিলাম, এই সরকারকেও বলেছি যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকা উচিত বলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে। আমরা মনে করি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সম্মান করা উচিত এবং এই ধরনের মামলাগুলো আইনের শাসন এবং সংবাদপত্রের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে মোকাবিলা করা উচিত।
পরে অন্য এক সাংবাদিক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমার অংশটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে মিলার বলেন, আমরা এই ঘটনাবলীর দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছি এবং সংঘাত ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আমরা উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা করার বিষয়টি আমাদের জন্য অগ্রাধিকার। বাংলাদেশের মানুষ এবং সরকার বার্মায় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে উদারতা দেখিয়েছে এবং আমরা রোহিঙ্গা ও বার্মার অন্যান্য দুর্বল সম্প্রদায়ের সদস্যদের যারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।