অন্তর্বর্তী সরকারকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বললো ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম

ভারতের পার্লামেন্ট। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সে দেশের সরকারের। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ভারতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল ভারত সরকার। এবার সংসদেও এই ইস্যুতে আলোচনা করলেন দেশটির সংসদ সদস্যরা।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত সহিংসতা ও হামলার ঘটনা বাড়ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত উদ্বেগ নিয়ে ভারতের সংসদে এই প্রশ্ন তোলা হয়।
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও দেব-দেবীর অপবিত্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। ভারত সরকার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজা মণ্ডপে হামলা এবং ২০২৪ সালে দুর্গাপূজার সময় সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সরকার হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু ও তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও আহ্বান জানিয়েছে।’
আরো পড়ুন: চিন্ময় ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদে আরো বলেন, ‘সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের।’
এনডিটিভি বলেছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২৯ নভেম্বর সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন জয়শঙ্কর। স্বাভাবিকভাবেই দেশটির বিরোধী দলগুলোও এই ইস্যুতে কোনো আপত্তি তুলবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এরইমধ্যে ভারত সরকার এবং দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।