আইসিসির রায়কে অশ্রদ্ধা
নেতানিয়াহুকে হাঙ্গেরি সফরের আমন্ত্রণ অরবানের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম

নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যে এই আমন্ত্রণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছবি: দি আইরিশ টাইমস
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হাঙ্গেরিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যে এই আমন্ত্রণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে হাঙ্গেরির অবস্থান এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অরবান বলেছেন, তিনি গ্যারান্টি দেবেন যে হাঙ্গরির মাটিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হবে না। অর্থাৎ তার সরকার এই রায়ের বিধান মানবে না। একইসঙ্গে নেতানিয়াহুকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
অরবান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তার জাতীয়তাবাদী মতামত এবং নেতানিয়াহুর প্রতি তার সরকারের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য পরিচিত। এছাড়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির পরোয়ানাকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরো পড়ুন: ফের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি উত্তর কোরিয়ার
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হাঙ্গেরি আন্তর্জাতিক ফোরামে, বিশেষ করে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে প্রায়ই নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়েছে। অরবান বর্তমানে ইইউর সভাপতি। ইইউ সবসময় ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতির সোচ্চার সমালোচক। হাঙ্গেরিকে ইইউ-এর মধ্যে ইসরায়েলের অন্যতম শক্তিশালী মিত্র হিসেবে ভাবা হয়।
নেতানিয়াহু এবং দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তীব্র সমালোচনা করেছে মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে আইসিসির এই রায়কে আইনি বিষয় হিসেবে সম্মান জানানো উচিত বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল।
তিনি বলেছেন, আদালতের রায় একটি আইনি বিষয়, এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়। তার ভাষ্য, সদস্য দেশগুলোর উচিত গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে সম্মান করা, একইসঙ্গে এটি বাস্তবায়ন ও বহাল রাখা উচিত। বোরেল আরো বলেন, গাজার ট্র্যাজেডি বন্ধ করতে হবে।