খামেনির মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৮ এএম

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত
ভারত সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। খামেনি তার সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে ভারতের মুসলমানদের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। এটি ভারতের পক্ষ থেকে ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেয়া অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
খামেনি তার পোস্টে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘মিয়ানমার, গাজা বা ভারত— যেখানেই হোক, মুসলমানরা যে কষ্ট সহ্য করছে, তা আমরা যদি অবহেলা করি, তবে আমরা নিজেদেরকে প্রকৃত মুসলিম হিসেবে ভাবতে পারি না’ খামেনির এই মন্তব্য দ্রুতই ভারতের বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খামেনিয়ের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে অবস্থান নেয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, এই ধরনের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করছি। যেসব দেশ সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলে, তাদের নিজেদের দিকে প্রথমে তাকানো উচিত। ভারত বরাবরই বলে আসছে যে তার সংখ্যালঘুরা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার আওতায় রয়েছে এবং বাইরের কেউ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে, তা দিল্লি মেনে নেবে না।
ভারত ও ইরানের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে। মে মাসে ভারত ও ইরান চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই বন্দরটি ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যিক ও কৌশলগত সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তবে খামেনিয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর এই সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, দেশটি ইরানের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ও কৌশলগত স্বার্থ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরো পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত
অনেকের মতে, দুই দেশের মধ্যে এমন সাময়িক উত্তেজনা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ ইরান ও ভারতের মধ্যে চাবাহার বন্দরসহ বিভিন্ন কৌশলগত প্রকল্প রয়েছে, যা উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে জড়িত।