ধর্ষণ মামলা
সাবেক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের ১ বছর কারাদণ্ড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ এএম

অধ্যাপক তারিক রমাদান। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের পরিচিত ইসলামী চিন্তাবিদদের একজন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তারিক রমাদানকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত। দেশটির আপিল আদালত রমাদানের বিরুদ্ধে এই রায় দেয়। এর আগে তিনি খালাস পেলেও নতুন এই রায়ের ফলে তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১ বছর তাকে কারাগারে কাটাতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এই রায়ে বলা হয়েছে, ১৫ বছর আগে জেনেভার একটি হোটেলে ব্রিজিট নামের এক নারীকে ধর্ষণ করেন। ওই নারী অভিযোগ করেছেন, ২০০৮ সালে একটি বইয়ের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তারিক রমাদান তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর ঘর্ষণ করেন। খবর দ্য ন্যাশনালের।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তারিক রমাদান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, এটি একটি ষড়যন্ত্র এবং ব্রিজিট নিজেই, স্বেচ্ছায় তার ঘরে এসেছিলেন। তিনি জানান, তাদের মধ্যে সামান্য ঘনিষ্ঠতা হলেও তা দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ব্রিজিটের দেয়া সাক্ষ্য, চিকিৎসা সনদ, এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। তদন্তের সময় সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারকরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, তারিক রমাদান মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার নাতনি এবং ইসলামিক স্টাডিজের একজন স্বনামধন্য স্কলার। ২০১৭ সালে ফ্রান্সে #মিটু আন্দোলনের সময় তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওঠে। ফলে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন।
ব্রিজিট অভিযোগ করেন যে তিনি ১০ বছর পর সাহস করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কারণ ফ্রান্সে তারিক রমাদানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তিনি সাহসী হয়ে এগিয়ে আসেন। ২০২৩ সালে এক নিম্ন আদালত প্রমাণের অভাব এবং বাদী পক্ষের পাঠানো কিছু ‘ভালোবাসার বার্তা’র কারণে রমাদানকে খালাস দিয়েছিল।
তবে, আপিল আদালতে ব্রিজিটের আইনজীবীরা দাবি করেন যে, রমাদান মানসিকভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন, যা স্টকহোম সিনড্রোমের মতো আচরণের উদাহরণ।
আরো পড়ুন: কমলা ও ট্রাম্পের মুখোমুখি বিতর্ক শুরু
এখন তারিক রমাদানের আইনজীবীরা সুইজারল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও, ফ্রান্সের আদালতে তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।