ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ বলছে তারা যুদ্ধ চায় না, তবে প্রস্তুত রয়েছে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম

ছবি: বিবিসি
ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই বলছে যে তারা যুদ্ধ চায় না, তবে উভয়পক্ষই যুদ্ধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। রবিবার (২৫ আগস্ট) সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রায় ১০০টি ফাইটার জেট ব্যবহার করে দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। হিজবুল্লাহ পাল্টা জবাব হিসেবে উত্তর ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
ইসরায়েলের মতে, এই হামলাটি ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা হতে পারে। ইসরায়েলি হামলাটি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়। ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ সকাল ৫টায় তেল আবিবে বড় আকারের রকেট হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শেষ পর্যন্ত হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনাগুলিতে ৩০০টিরও বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই নতুন সংঘর্ষের ফলে আবারো পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হিজবুল্লাহর বক্তব্য অনুযায়ী, এটি ৩০ জুলাই বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় তাদের সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধের প্রথম ধাপ। ইসরায়েলিরা মনে করছে, এই হামলার ফলে হিজবুল্লাহর একটি বড় হামলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
এই মুহূর্তে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধের প্রথম ধাপ তারা সম্পন্ন করেছে। যদিও এই সংঘর্ষের ফলে তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি হয়েছে এবং দুই পক্ষেই কম সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তবে পরিস্থিতি কি এখন পূর্ববর্তী সীমান্ত সংঘর্ষের মতো থাকবে, নাকি তা আরো বড় আকার ধারণ করবে, সেটাই প্রশ্ন।
আরো পড়ুন: কুরস্কে ৮ সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে রাশিয়া
ইসরায়েলি ও হিজবুল্লাহ নেতারা বলছেন তারা আরেকটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চান না, কিন্তু উভয়পক্ষই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।