বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজেপি, সিডি দিয়ে শেখ হাসিনাকে নালিশ বিধায়কদের

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১১:১৯ পিএম

বাংলাদেশ হাইকমিশনে নালিশ জানিয়েছেন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়করা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে কোটা নিয়ে আন্দোলনের জেরে ইতোমধ্যে কলকাতায় একাধিক বিক্ষোভ করেছে বামপন্থী দলগুলো। মিছিল হয়েছে কলকাতার রাজপথে। এবার পড়শি দেশের মাটিতে নানা স্লোগান নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে নালিশ জানিয়ে এলেন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়ক দল।
শুভেন্দুর দাবি, 'বাংলাদেশের আন্দোলনে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়েছে। স্লোগানকারী জামায়াত, রাজাকারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।' এদিকে এদিন বাংলাদেশ হাইকমিশনে যাওয়ার পথে পুলিশ বাধা দেয় বিজেপি বিধায়কদের। ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকানো হয়। তারপর তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিসে যান।
শুভেন্দুর বক্তব্য, আমরা সম্প্রতি বাংলাদেশে কিছু ভিডিও ক্লিপিংয়ে স্লোগান শুনেছি। জামায়াত, রাজাকার, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কিছু বিষয় আমরা সবাই দেখেছি। আমরা উদ্বিগ্ন। গত শনিবার ডেপুটি হাইকমিশনারকে মেইল করেছিলাম বিধানসভার বিজেপি অফিস থেকে। তিনি আমাদের আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বিধায়কদের নামে তালিকা চান। সেটা আমরা দিয়ে দিই। এই রাস্তায় ব্যারিকেড থাকে না।
আরো পড়ুন : মোদির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ক্ষুব্ধ মমতা
তিনি বলেন, আমরা চারটে ভিডিও ক্লিপিংয়ের কথা বলেছি। একটি স্লোগানে আন্দোলনকারীরা বলেছেন, 'শেখ হাসিনার বাবার নাম, হরে কৃষ্ণ হরে রাম'। বাংলাদেশের ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে দোকানে দোকানে ঢুকে রাজাকার, জামায়াতরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন বলে প্রচার করছে।
পেঁয়াজ না গেলে তো ৩০০ টাকা কেজি হবে! 'ভারত যাদের মামার বাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি।' এই ভাষা আমরা বরদাস্ত করব না। ভারতমাতার অপমান আমাদের অপমান। বিজিবির সামনে গিয়ে বলা হয় তোমরা মোদির সন্তান। সীমান্তে ফিরে যাও। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার অধিকার কারো নেই। আমরা বলেছি, সিডি দিয়ে গেলাম।
ডেপুটি হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা বলেছি ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত দেয়া, ভারত বিরোধী স্লোগান দেয়া, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম ধরে অসম্মান করে লোকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহীদ দিবসে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দরজায় খটখট করলে আশ্রয় দেব। তবে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে ব্যাপারে কিছু বলবো না সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। এদিকে সিডি দিয়ে অভিযোগ জানালেও শুভেন্দু বলেন, আন্দোলন নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। অন্য দেশের ইস্যু। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা নাক গলাতে চাই না।