মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে সেনাপ্রধান

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম

মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হলেন জান্তা সরকারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি : সংগৃহীত
জান্তা সরকারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংকে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাপ্রধানের ভূমিকা পালন করছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট শোয়ে চিকিৎসার জন্য ছুটি নেয়ায় সেনাপ্রধানকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়। দেশটির সেনাবাহিনীর বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সোমবার (২২ জুলাই) মিয়ানমারের রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিন অং হ্লাইং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিন্ট শোয়ে অসুস্থ ও তার চিকিৎসা প্রয়োজন। এজন্য তিনি ছুটিতে আছেন। তিনি সুস্থ হয়ে না ফেরা পর্যন্ত তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন মিন অং হ্লাইং। এরপর জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের কাছে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে নিহত ২২৯
মিন্ট শোয়ে, সামরিক-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সদস্য। ২০১৬ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সরকারের অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন তিনি। সেনা অভ্যুত্থানের পর সামরিক সরকার তাকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির পদে বসায়। তখন প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। নতুন সরকার গড়ে নাম দেয়া হয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল। এর প্রধান হন দেশ সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। মিন্ট শোয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অভ্যুত্থানের পর সামরিক সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
গত সপ্তাহে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম জানিয়েছিল, ৭৩ বছর বয়সি মিন্ট শোয়ে একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এই বছরের শুরু থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাছাড়া অসুস্থতার কারণে মিন্ট শোয়ে এখনো খাবার খাওয়াসহ স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন না।