ন্যাটো জোটে ইসরায়েলকে নেয়ার ব্যাপারে এরদোগানের আপত্তি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম

ন্যাটো জোটে ইসরায়েলকে নেয়ার ব্যাপারে এরদোগানের আপত্তি। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইসরায়েলের মতো বর্বর দেশ কখনো ন্যাটো জোটের সহযোগী সদস্য হতে পারে না। শুক্রবার (১২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আয়োজিত ন্যাটোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এরদোগান বলেন, গাজায় যেভাবে ইসরায়েল নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে- এ কারণে বর্বর দেশটি কখনোর ন্যাটো সামরিক জোটের অংশীদার বা পার্টনার হতে পারবে না। খবর ডেইলি সাবাহর।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৩২টি দেশের সামরিক জোট ন্যাটোর দ্বিতীয় শক্তিশালী সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের পরই জোটে তাদের অবস্থান। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে ন্যাটোর সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান এ কথা বলেন।
এই ৩২টি রাষ্ট্র ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আছে ন্যাটোর। এসব দেশকে বলা হয় ন্যাটো পার্টনার অংশীদার।
বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন স্বৈরাচার। নেতানিয়াহুর সম্প্রসারণবাদী আচরণ ও বেপরোয়া নীতির কারণে ফিলিস্তিসহ গোটা অঞ্চলে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, যে পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিনে তার দখলদারিত্বের অবসান না ঘটাবে এবং গণহত্যা বন্ধ না করকে, ততদিন কোনোভাবেই ন্যাটোর সহযোগী হতে পারবে না এই ইহুদিবাদী দেশটি।
এরদোগান ইসরায়েলকে মনে করিয়ে দেন, ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে চাইলে অবশ্যই তুরস্কের অনুমোদন নিতে হবে। আর স্বৈরাচারী আচরণ ও বর্বরতা পরিহার না করলে তুরস্ক কখনোই কোনো দেশকে অনুমোদন দেবে না।
তিনি বলেন, ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো দ্বি-রাষ্ট্র নীতিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের অবসান চায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ইসরায়েলকে ১৯৬৭ সালের ফিলিস্তিনের সীমান্ত মেনে দখল করা বাকি অংশ ছেড়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুন: ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী কে এই টমাস ম্যাথিউ
এরদোগান আরো বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে- অনেক দেশ এখন আন্তর্জাতিক আদলতে চলমান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ববাসী এখন ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে।