জানা গেল ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর পরিচয়, কী তার উদ্দেশ্য?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হামলাকারীর নাম জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, হামলাকারীর নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। তাঁর বয়স ২০ বছর।
বিবিসির খবর বলছে, হামলাকারী ক্রুকস পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকার বাসিন্দা। বাটলার থেকে এই শহরের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। গুলির এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা ধরে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সিক্রেট সার্ভিস।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, থমাসের ভোটার রেকর্ড অনুসারে তিনি একজন নিবন্ধিত রিপাবলিকান ছিলেন।এছাড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যাথিউ একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টের ছাদে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালান যা ট্রাম্পের কান ফুটো করে বেরিয়ে যায়।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট অনুসারে, ট্রাম্পের সমাবেশে হামলাকারী থমাস পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা। বাটলার ফার্ম শো গ্রাউন্ডের মঞ্চ থেকে ১৩০ গজ দূরে ছিলেন তিনি। তখন ট্রাম্পের প্রচারণার অনুষ্ঠান পুরোদমে চলছিল।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী সমাবেশে সবে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছিলেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তিনি মঞ্চে বসে পড়েন। তাঁর ডান কান দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ধরেন এবং দ্রুত গাড়িতে নিয়ে যান।
এমন একটি সময়ে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণে আর চার মাসও বাকি নেই। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। ২০২০ সালের মতো এবারও ট্রাম্প ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন।
ডান কানে আঘাতের কারণে বেশ রক্তক্ষরণ হলেও বর্তমানে নিরাপদ ও সুস্থ আছেন তিনি। ন্যাক্কারজনক এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সহিংসতার কোন জায়গা নেই।
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে কোনোভাবেই এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সবাইকে এক হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করারও আহ্বানও জানান বাইডেন। সেইসঙ্গে ট্রাম্পের সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প। এ ছাড়া হামলার পর দেয়া প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সিক্রেট সার্ভিস ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প নিজেও।