ঘূর্ণিঝড় বেরিলের তাণ্ডবে নিহত ১০

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকাতে প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে অতি বিপজ্জনক শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হারিকেন বেরিল। এসময় ঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দশজন নিহত হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পাড়ে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শক্তিশালী এই ঝড়ে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গেছে। খবর বিবিসি।
হারিকেনের প্রভাবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বিপপুঞ্জগুলোতে বন্যা ও প্রাণঘাতী ঝড় বয়ে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে, ফোন ও ইন্টারনেটের লাইন সচল হচ্ছে। এতে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও পরিষ্কার হতে শুরু হয়েছে।
বন্যাপ্রবণ এই এলাকাটি থেকে বাসিন্দাদের আগেই সরানো শুরু করেছিল জরুরি বিভাগের কর্মীরা। জ্যামাইকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সেন্ট এলিজাবেথ প্যারিশের একটি কৃষিপ্রধান গ্রামে পাহাড়ের ওপর বসবাস করা অ্যামোয় ওয়েলিংটন (৫১) বলেন, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি আমার বাড়িতেই আছি, আতঙ্কিত। এটা ভয়ানক বিপর্যয়।
আরো পড়ুন: ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ‘রকেটবৃষ্টি’
এর আগে মহাশক্তি নিয়ে আঘাত হানে ক্যারিবীয় ইউনিয়ন দ্বীপে। সেখানে সব বাড়িঘর ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার গতিবেগে একটানা বাতাসসহ চার ক্যাটাগরি হারিকেন হিসেবে বেরিল দ্বীপটিতে আঘাত হানে।
দ্বীপটিতে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। অনেকে সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং সেন্ট লুসিয়াতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব দেখে স্থানীয়রা হতবাক হয়ে গেছেন।
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্সের কাছে অবস্থিত দ্বীপের প্রতিটি বাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মহাশক্তিশালী ঝড় বেরিলের ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে গোটা ইউনিয়ন দ্বীপে। প্রায় পুরো দ্বীপের বাসিন্দারা এখন গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন বলে একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
তিনি জানান, দ্বীপটির প্রায় সব বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ঝড়ের তাণ্ডবে। বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তায় ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।