যে শর্তে ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে হিজবুল্লাহ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:১৩ পিএম

হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম। ছবি : সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান বন্ধ করলে ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই বন্ধ করবে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার (৩ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিটেটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সাংগঠনিক উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘হামাসের মিত্র হিসেবে আমরা এখন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছি। গাজায় যদি যুদ্ধবিরতি হয়, অর্থাৎ ইসরায়েলি বাহিনী যদি সেখানে অভিযান বন্ধ করে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে হামলা বন্ধ করে দেবো। আমাদের আর কোনো শর্ত নেই।’
গত ৭ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি।
আরো পড়ুন : ২ মাসে নিহত ৯০০ হামাস যোদ্ধা
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অভিযান শুরুর ১ মাস পর থেকে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। সেই হামলার জবাব দেয়া শুরু করে আইডিএফও। হিজবুল্লাহ ও আইডিএফের পাল্টাপাল্টি এই হামলায় গত ৭ মাসে লেবাননে নিহত হয়েছেন ৪৮১ জন। তাদের মধ্যে বেসামরিকদের সংখ্যা ৯৪ জন। অন্যদিকে লেবাননের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন সেনা এবং ১১ জন বেসামরিক।
তবে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের তেজ খানিকটা কমে আসছে। পাশাপাশি পুরোপুরি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা না দিলেও গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রীর সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা অভিযান বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে আইডিএফ। সম্প্রতি ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তিও দেয়া হয়েছে।