ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
কট্টরপন্থী সাইদকে পেছনে ফেললেন সংস্কারপন্থী মাসুদ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম

ভোটের ফলাফলে এগিয়ে আছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান।
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ভোটের ফলাফল গণনার শুরুর দিকে এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে পিছিয়ে পড়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি। এগিয়ে আছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী, আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান। খবর-রয়টার্স
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দেয়া তথ্য অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত গণনা করা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৪৬২টি ভোট। মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮১ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। সাইদ জলিলি পেয়েছেন ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ ভোট।
এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটি ৩ লাখের মতো ভোট গণনার সময় সামান্য ভোটে এগিয়ে ছিলেন সাইদ জালিলি। তিনি পেয়েছিলেন ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট। মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছিলেন ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট। মূলত এই দুজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এছাড়া কট্টরপন্থী প্রার্থী ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ পেয়েছেন ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৫ ভোট। আরেক কট্টরপন্থী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন ১ লাখ ১১ হাজার ৯৬৭ ভোট।
আরো পড়ুন : ভারতে ট্যাংক দুর্ঘটনায় পাঁচ সেনা নিহত
নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানান, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৮ শতাংশ। আর গত মার্চে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪১ শতাংশ। নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে।
প্রথম দফার নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে তখন। প্রথম দফার ফল ঘোষণার পর প্রথম যে শুক্রবারটি আসবে, সেদিনই হবে দ্বিতীয় দফার ভোট।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে আভাস দেয়া হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে।
নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল; অর্থাৎ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে আগাম নির্বাচনের বিকল্প ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।