ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
ভোট গণনা চলছে, এগিয়ে কট্টরপন্থী প্রার্থী

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪৩ এএম

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ছবি : সংগৃহীত
শুক্রবার ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশটিতে স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এখন চলছে ভোট গণনা। এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় পাওয়া ফল অনুযায়ী কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি এগিয়ে আছেন।
শনিবার (২৯ জুন) সকালে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সাইদ জালিলি এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহসেন এসলামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানান, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লাখের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে জালিলি পেয়েছেন ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট। সংস্কারপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী ও আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট পেয়েছেন।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলি ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা
কট্টরপন্থী প্রার্থী ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ পেয়েছেন ১৩ লাখ ৮০ হাজার ভোট। আরেক কট্টরপন্থী মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি ভোট।
নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানান, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৮ শতাংশ। আর গত মার্চে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪১ শতাংশ। নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে।
প্রথম দফার নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে তখন। প্রথম দফার ফল ঘোষণার পর প্রথম যে শুক্রবারটি আসবে, সেদিনই হবে দ্বিতীয় দফার ভোট।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে আভাস দেয়া হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে।
নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল; অর্থাৎ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে আগাম নির্বাচনের বিকল্প ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।