বুকার জয়ী ভারতীয় লেখক ও সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় এ বছর ‘পেন পিন্টার’ পুরস্কার জিতেছেন। সাহিত্যে অসাধারণ প্রতিভা ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরের জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবর ব্রিটিশ লাইব্রেরির যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।

জানা যায়, নোবেল বিজয়ী নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টারের স্মরণে ইংলিশ পেন সংস্থা ২০০৯ সালে বার্ষিক এই পেন পিন্টার পুরস্কার প্রবর্তন করে।

সাহিত্যে অসাধারণ প্রতিভার লেখকদের মধ্যে যারা বিশ্বকে নির্ভীক দৃষ্টিতে দেখেন তাদের সম্মান জানাতেই এ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।

এ তথ্য জানার পর অরুন্ধতী তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, এ বছরের পেন পিন্টার পুরস্কার পেয়ে আমি ‘আনন্দিত’। 'হ্যারল্ড পিন্টার আমাদের সঙ্গে থাকলে আজকের পৃথিবী যে প্রায় অবোধ্য মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে লিখতে পারতেন। যেহেতু তিনি নেই, তাই আমাদের মধ্যে থেকেই তার জায়গা পূরণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

আরো পড়ুন : নিজেই হাত থেকে ফোনটা নিয়ে ছবি তুললেন রাহুল গান্ধী : রচনা

১৪ বছর আগে করা মন্তব্যের জন্য ভারতের কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুমোদন দেয়ার ১০ দিন পরেই তিনি এই পুরস্কার পেলেন।

৬২ বছর বয়সী অরুন্ধতী রায় একজন স্পষ্টভাষী লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি প্রায়ই তার বক্তৃতা এবং লেখার জন্য ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলির কাছে হেনস্তার শিকার হন। ভারতের মানবাধিকারের বিষয়গুলোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ এবং পুঁজিবাদ সম্পর্কে নিয়মিত লিখছেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী এ লেখক।

পুরস্কারের বিষয়ে ইংলিশ পেনের চেয়ারম্যান রুথ বোর্থউইক অরুন্ধতীর প্রশংসা করে বলেন, ‘ভারত এখনো বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। তিনি সত্যিই একজন আন্তর্জাতিকতাবাদী চিন্তাবিদ। তার শক্তিশালী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দেয়া যাবে না।’

অরুন্ধতী রায় অসংখ্য বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন। দ্য গড অফ স্মল থিংস উপন্যাসের জন্য সর্বাধিক পরিচিত তিনি। বইটি লিখে ১৯৯৭ সালে বুকার পুরস্কার জিতেছেন এ লেখক।