১০০ কোটি ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ০৮:১৮ এএম

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন আবারো নাকচ করেছে দেশটির আদালত।
বুধবার (১৯ জুন) কেজরিয়ালের জামিনের বিরোধীতা করে ভারতে দুর্নীতি বিরোধী ইডির আইনজীবী আদালতে বলেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পার্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন।
দিল্লির আদালতে শুনানির সময় সিবিআইয়ের তদন্তের বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন ইডির আইনজীবী এসভি রাজু। শুনানি শেষে কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন নাকচ করে ৩ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে কেজরিওয়ালের আইনজীবী বিক্রম চৌধুরী ইডির দেয়া বক্তব্যের বিরোধীতা করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনের কোনো প্রমাণ নেই। এটা কেবল ইডির দাবি এবং অভিযোগ।
জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর কেজরিওয়ালের আইনজীবী বলেন, এটা বিচার হচ্ছে না, বিচারের নামে নিপীড়ন করা হচ্ছে।
আবগারি মামলায় ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে অবশ্য ভোটের মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন। সাত দফায় ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর ১ জুন তার জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। পরে তিনি আবারো আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে ফিরে গিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা ভারতের
বুধবার কেজরিওয়ালের কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকায় জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালতে ইডি দাবি করেছে, আবগারি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী যে ১০০ কোটি রুপি ঘুষ চেয়েছিলেন, তা সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকি সেই অর্থ কেজরিওয়াল যে নিজ দলের পেছনে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন, সেই তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে আছে।
এদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, অর্থ লেনদেনের পক্ষে প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো এমন ব্যক্তিরা করেছেন, যারা নিজেরাই এই মামলায় অভিযুক্ত।
কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা আরো দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছিলেন, তাদের জামিন পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
ইডির আইনজীবী কেজরিওয়ালের জামিনের আরজির বিরোধিতা করে যুক্তি দেন—অর্থ তছরুপের বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তদন্ত করে দেখতে হবে যে, এতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কতটা ভূমিকা ছিল। দুই পক্ষের যুক্তি পাল্টা যুক্তি শুনে আদালত কেজরিওয়ালের জেল হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরো ১৪ দিন বাড়ানোর নির্দেশ দেন আদালত।