ইসরায়েলে নতুন করে হামলার হুমকি আল-কাসাম ব্রিগেডের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
-666d577da5469.jpg)
ইসরায়েলে নতুন করে হামলার হুমকি দিয়েছে আল-কাসাম ব্রিগেড । ছবি: সংগৃহীত
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসাম ব্রিগেড গাজায় নতুন করে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে হামলার ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুন) আল কাসাম ব্রিগেড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়। ইতোমধ্যে তাদের চালানো হামলায় ইসরায়েলের অনেক সেনাই আহত হয়েছে। রিপোর্ট আনাদোলু এজেন্সির।
একটি বিবৃতিতে, আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে যে তারা ইতোমধ্যে গাজার জেইতুন এলাকায় একটি বাড়িতে হামলা চালায় যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী অবস্থান করছিলো। বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনার হতাহতের খবর পাওয়া যায়। আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা একটি ইসরায়েলি হেলিকপ্টারকে ধাওয়া করেছে যেটি আহত ইসরায়েলি সেনাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছিলো। খবর মিডেলইস্ট মনিটরের।
আরেকটি বিবৃতিতে আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে তারা পূর্ব জেইতুন এলাকায় একটি টানেলের খাদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হন। আরেক হামলায় পশ্চিম রাফার আল-সুলতান পাড়ায় ইসরায়েলি সেনাদের উপর মর্টার হামলা চালায় আল-কাসাম। পরে একটি ইসরায়েলি ট্যাংকে গ্রেনেড হামলা চালায় আল-কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা।
যদিও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনো আল-কাসাম ব্রিগেডের এ হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি দেয়নি।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাদের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় হামাসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অপারেশনের দাবি করা হয়। অপারেশনে হামাসের কয়েকটি ভূগর্ভস্থ টানেল ইতোমধ্যে ধংস করা হয়েছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা চালানোর পর থেকে গাজার আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় ক্রমাগত হামলা অব্যাহত রেখেছে। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েল প্রতিনিয়তই নিন্দার সম্মুখীন হচ্ছে।
গাজা নিয়ন্ত্রণকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্থিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিভাগই মহিলা ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৮৫ হাজার জন।
যুদ্ধের ৮ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এসময় কার্যত অবরোধের কারণে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
গত ৬ মে হামলার আগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে তেলআবিবকে দক্ষিণ রাফাহ থেকে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্থিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে।