চীন অধিকৃত ভূখণ্ডের ৩০ জায়গার নতুন নাম দিচ্ছে ভারত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ০৯:৫১ এএম

ছবি : সংগৃহীত
অরুণাচল প্রদেশের ভূখণ্ড নিয়ে চীন-ভারতের মধ্যে বিরোধ বহুদিন ধরে চলে আসছে। এই প্রদেশের ওপর নিজেদের মালিকানা দাবির অংশ হিসেবে গত এপ্রিলে সেখানকার ৩০টি জায়গার নাম বদলে চীনা নাম রেখেছিল বেইজিং।
এবার তিব্বতে তার জবাব দিতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েল সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, সেনার নয়া সংশোধিত মানচিত্রে চীন অধিকৃত তিব্বতের ৩০টি জায়গার নতুন নাম থাকবে।
নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্বগ্রহণের পরই চীন সরকারের ‘নামকরণ কৌশলের’ জবাব দিতে চলেছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর চীন অধিকৃত তিব্বতের ৩০টি জায়গার ‘নাম বদলের’ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কেন্দ্র।
আরো পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে সেনা ঘাঁটিতে হামলা, চলছে গোলাগুলি
২০২৩ সালের শুরুতেও চীনের বেসামরিক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অরুণাচলের ১১টি জায়গার নাম বদলে দেয়া হয়েছিল। এর পেছনে তাদের যুক্তি ছিল— স্থানীয় মানুষদের উচ্চারণের সুবিধার্থেই জায়গাগুলোর নাম বদলানো হয়। যে ১১টি জায়গার নাম বদলানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল পর্বতশৃঙ্গ, নদী, এমনকি বসতি অঞ্চলও।
এই পরিস্থিতিতে তিব্বতকে হাতিয়ার করে নয়াদিল্লি আন্তর্জাতিক মঞ্চে শি জিনপিং সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চাশের দশকে চেয়ারম্যান মাও জে দংয়ের নির্দেশে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র তিব্বত দখল করেছিল। এর পরেই শুরু হয় স্বাধীনতাকামী তিব্বতিদের উপর দমনপীড়ন। পরবর্তী সময়ে চীনা অত্যাচারের আশঙ্কায় কয়েক লাখ অনুগামী-সহ ভারতে চলে এসেছিলেন তিব্বতি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু দলাই লামা। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। গত ছ’দশক ধরে তিব্বতের স্বাধীনতার দাবিতে বিশ্ব জুড়ে প্রচার করে চলেছেন দলাই অনুগামী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। চীনা দখলদারির প্রতিবাদে আন্দোলন চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।