গাজা থেকে ৪ জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহল মধ্য গাজা উপত্যকায় আল-নুসেইরাত শহরের দু’টি পৃথক স্থান থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই জিম্মিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী। খবর: দি টাইমস অব ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর সময় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা সুপারনোভা সংগীত উৎসব থেকে এদের ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছিল বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) জানানো হয়েছে তারা সুস্থ থাকলেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
উদ্ধারকৃত জিম্মিদের নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মেইর জান (২১), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭) ও স্লোমি জিভ (৪০) বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে আরগামানি নারী।
আরো পড়ুন: এবার জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েল
ওই আক্রমণের পর ওই দিন থেকেই হামাস শাসিত গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে আট মাস ধরে চলা তাদের অবিরাম নির্বিচার হামলায় গাজা ভূখণ্ড ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, নিহত হয়েছে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি যাদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং নারী-শিশু।
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ জন ধরে গাজায় নিয়ে এসে জিম্মি করে রেখেছিল হামাস। ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, এদের মধ্যে ১১৬ জন গাজা থেকে মুক্তি পেয়ে ভূখণ্ডটি ছেড়ে গেছে আর অন্তত ৪০ জনকে কর্তৃপক্ষ তাদের অনুপস্থিতিতে মৃত বলে ঘোষণা করেছে।
মুক্তির পর আরগামানিকে ফোন করেছিলেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ। আরগামানি প্রেসিডেন্ট হারজগের কলটি রিসিভ করছেন এমনটি একটি ভিডিও ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে বিতরণ করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, আরগামানি একটি হাসপাতালের রুমে তার বাবার সঙ্গে বসে হাসছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, “এখানে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সবকিছুর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ, এই মূহুর্তটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”
আরো পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৭৭
আরেকটি ভিডিওতে আরগামানিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেখা গেছে। সেখানে নেতানিয়াহুকে আরগামানি বলেন, “আমি খুব আলোড়িত হয়েছি। কতোদিন আমি হিব্রু শুনিনি।”
এর আগের আরেকটি ভিডিওতে আরগামানিকে তার বাবার সঙ্গে পুনর্মিলিত হতে দেখা গেছে। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।
আরগামানিকে সুপারনোভা সংগীত উৎসব থেকে তার ছেলে বন্ধু আভিনটন অরসহ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আভিনটন এখনো হামাসের হাতে বন্দি আছেন বলে ধারণা করা হয়।
আরগামানি জিম্মি সংকটের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন। দুই ব্যক্তি তাকে নোভা সংগীত উৎসব থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এমন একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছিল। ওই ভিডিওতে আতঙ্কিত আরগামানিকে চিৎকার করে ‘আমাকে হত্যা করো না!’ বলতে দেখা গিয়েছিল।