এক বছর প্রেমের পর জানলেন স্ত্রী আসলে পুরুষ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

ইন্দোনেশিয়ায় এক বছর প্রেমের পর জানলেন স্ত্রী আসলে পুরুষ। ছবি: সংগৃহীত
২৬ বছর বয়সী ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণ এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেম করেছেন, এরপর সেই প্রেম রূপ নেয় পরিণয়ে। গত এপ্রিলে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই স্ত্রীর আচরণে ওই তরুণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তিনি জানতে পারেন, এত দিন তিনি যার সঙ্গে প্রেম করেছেন, যাকে বিয়ে করেছেন, তিনি আসলে একজন ছেলে।
একে নামের ওই তরুণ দেশটির জাভা দ্বীপের নারিংগুল অঞ্চলের বাসিন্দা। ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আদিনদা কানজা নামের এই নারীর সঙ্গে একের পরিচয় হয়। একসময় দুজন সিদ্ধান্ত নেন দেখা করার ।
একে বলেন, কানজা সব সময় মুসলিম ঐতিহ্য অনুযায়ী বোরকা পরতেন। এবং যখনই দেখা করতে আসতেন, তখনই হিজাব পরে আসতেন।
একে আরো বলেন, ইসলাম ধর্মের অনুশাসনের প্রতি তার এই নিষ্ঠা দেখে তিনি কখনো এ নিয়ে কিছু বলেননি। এটা নিয়ে তার বিরক্তিবোধও লাগেনি কখনো।
যখন দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন কানজা জানালেন, তার পরিবারে এমন কেউ নেই, যারা বিয়েতে থাকতে পারেন। তাই একের বাড়িতেই ১২ এপ্রিল বিয়ের আয়োজন করা হয়।
বিয়ের সময় কানজা যৌতুক হিসেবে নিজের তরফ থেকে ৫ গ্রাম সোনাও নিয়ে আসেন। তাদের বিয়ে হলেও সেই বিয়ের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি।
বিয়ের মাত্র ১২ দিনের মাথায় একের মনে কানজার আচার-আচরণে সন্দেহ জন্মে। তিনি দেখলেন কানজা তার (একে) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে চান না। আবার বাড়ির ভেতরেও পর্দা করছেন। এমনকি একে যখনই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছে, তখনই কানজা কোনো না কোনো বাহানার আশ্রয় নিয়েছেন।
একের মনের সন্দেহ আরো দানা বাঁধে। কানজা তার পরিবারের যে গল্প বলেছিলেন, সেই সূত্র ধরে তিনি খোঁজ শুরু করেন। সেই অনুসন্ধানেও জোর ধাক্কা খান একে। তিনি জানতে পারেন, কানজা অনাথ নন। তার বাবা-মা বেঁচে আছেন এবং ভালো আছেন।
একে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি জানতে পারেন, সেটি হচ্ছে কানজা আসলে একজন ছেলে। ২০২২ সাল থেকে তিনি মেয়েদের পোশাক পরছেন।
কানজার মা-বাবাও সন্তানের বিয়ের কথা শুনে থ হয়ে যান। তারা ‘জামাতা’ হিসেবে একের নাম বা তাদের সম্পর্কের কথা কোনোদিন শোনেননি।
আরো পড়ুন: প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুকে বিরাট ক্ষতি বললেন পুতিন
কানজা অবশ্য পরে পুলিশকে জানিয়েছেন, একের কাছ থেকে তার পারিবারিক সব সম্পত্তি নিয়ে যেতে তিনি এমনটি করেছেন। এমনকি পুলিশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কানজা যখনই মেকআপ করেন, তখন তাকে নারীর মতোই লাগে। এমনকি তার কণ্ঠস্বরও নারীদের মতো।
কানজা এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। স্থানীয় আইনে প্রতারণার দায়ে তার চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।