অমিত শাহ
৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই কাশ্মীরে নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশটির একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচন শেষে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে। ইতিমধ্যে উপত্যকায় লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেছে। লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত হয়, মোদি সরকারের ‘কাশ্মীর নীতি’ সফল।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
অমিত শাহ আরো বলেন, আমি সংসদেও বলেছি- কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে দেব। অনগ্রসর শ্রেণিগুলির সমীক্ষা, বিধানসভা এবং লোকসভা আসন পুনর্বিন্যাস বা ‘ডিলিমিটেশন’— সব আপাতত পরিকল্পনামাফিক চলছে।
আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। তা-না হলে শ্রেণি অনুযায়ী সংরক্ষণ দেয়া সম্ভব হতো না। কাশ্মীরে লোকসভা ভোটও হয়ে গেছে। বাকি শুধু বিধানসভা ভোট, তা-ও হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে, তার আগেই ওই প্রক্রিয়া আমরা শেষ করব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে হবে।
পাঁচ দফায় পাঁচটি আসনে লোকসভা ভোট হয়েছে উপত্যকায়। ভোটের হার উল্লেখ করে শাহ জানান, তিনি বিশ্বাস করেন, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে। সেই কারণেই এত বিপুল পরিমাণে মানুষ বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন সেখানে।
শাহের কথায়, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে বলেছিলেন, উপত্যকার মানুষ ভারতের সংবিধানে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু এই নির্বাচনটি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে। কাশ্মীরের সংবিধান আর সেখানে নেই। যারা উপত্যকায় পৃথক দেশ চান, যারা পাকিস্তানে চলে যেতে চান, তারাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের জয়। মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির জয়।
২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। ২০১৯ সালের অগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারাটি বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেয়া হয়েছিল বিধানসভা। এখন পর্যন্ত সেখানে আর বিধানসভা ভোট হয়নি।