কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ফের শুরু

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে পুনরায় মিশরের কায়রোতে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু চুক্তি নিয়ে এবারও হবে কিনা তা নিয়ে রয়ে গেছে প্রশ্ন। মধ্যস্থতাকারীরা একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি ইসরায়েল ও হামাস।
দু’পক্ষই রাজি হয় এমন একটি প্রস্তাব মধ্যস্থতাকারীরা এখনো দিতে পারেননি। সোমবার মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য একটি প্রস্তাব দেয়ার পর ফিলিস্তিনিদের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাতে রাজি হয়।
কিন্তু প্রস্তাবটিতে বাধ সেধেছে ইসরায়েল। কায়রোয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলোচনায় উপস্থিত হয়ে ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা মধ্যস্থতাকারীদের দেয়া প্রস্তাবটির ৪টি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এর মধ্যে প্রথমেই আছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করার বিষয়টি।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবে যুদ্ধ অবসানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এমন হলে নারী সেনারা অনেক দেরিতে মুক্তি পেতে পারে- এমন আশঙ্কা আছে বলে তারা মনে করেন।
প্রস্তাবে প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মিকে জীবিত কিংবা মৃত যেভাবেই হোক মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল চায় ৩৩ জন জিম্মিকে জীবিত মুক্তি দিক হামাস।
এছাড়াও প্রস্তাবে হামাসের দেয়া তালিকা অনুযায়ী, ইসরায়েলের জেলে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে, যেখানে কারো মুক্তির ক্ষেত্রে ইসরায়েলের কোনো ভেটো ক্ষমতা থাকবে না। কিন্তু ইসরায়েল বলছে,তারা কোন বন্দিকে মুক্তি দেবে বা দেবে না তা নির্ধারণ করতে তাদের ভেটো ক্ষমতা থাকতে হবে।
প্রস্তাবে উত্তর গাজায় ফিরে যাওয়া অধিবাসীদের কোনো নিরাপত্তা তল্লাশি ছাড়া অবাধে চলাফেরা করতে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, হামাস বন্দুকধারীদের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে নিরাপত্তা তল্লাশির প্রয়োজন রয়েছে।
বিষয়গুলো নিয়ে ইসরায়েলের আপত্তির কারণে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে লড়াইয়ে এক সপ্তাহের বিরতির পর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান বেরিয়ে আসেনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে। ওই দিন থেকেই হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। তারপর থেকে ৭ মাস ধরে চলা তাদের নির্মম হামলায় গাজায় ৩৪ হাজার ছয়শরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এখন কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হলে তা নভেম্বরের সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি হবে।