রাফায় অভিযান চালানোর অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে রবিবার গাজার রাফায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। এর মধ্যে আবার যুদ্ধবিরতি আলোচনাও শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর মধ্যপ্রাচ্যে তার এক সফরকালে রাফায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করার পর নেতানিয়াহু রাফাহ অভিযানের অঙ্গীকার পুনঃব্যাক্ত করলেন।
মন্ত্রিপরিষদের একটি বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় প্রবেশ করবে।’
গাজায় ৫ মাসেরও বেশি সময়ের যুদ্ধে একমাত্র এই নগরীটিই এখন পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত নিরাপদ রয়েছে।
নেতানিয়াহু আরো বলেন, ‘আমরা রাফায় অভিযান চালাব। এ অভিযানে কয়েক সপ্তাহ লাগবে এবং এটি অবশ্যই ঘটবে।’
অভিযানটি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে নাকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘কোনো আন্তর্জাতিক চাপই ইসরায়েলকে যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। সব লক্ষ্য অর্জনের আগেই আমরা এখন যুদ্ধ থামালে এর মানে হচ্ছে, ইসরায়েল যুদ্ধে হেরে গেছে। আমরা এটি ঘটতে দেব না। হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং গাজা আর হুমকি নয়- সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। আর তা করতে আমরা রাফায় অবশ্যই অভিযান চালাব।’
ইসরায়েলের মিত্রদেশগুলো বরাবরই নেতানিয়াহুকে রাফায় হামলা না চালানোর আহ্বান জানিয়ে এসেছে। সেখানে আশ্রয় নেয়া মানুষদের সুরক্ষায় কোনো পরিকল্পনা না নিয়ে সেখানে হামলা চালানোর পক্ষে নয় দেশগুলো।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, রাফায় ইসরায়েলের হামলা আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠাকে কঠিন করে তুলবে। বরং একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা নিয়েই এখন আমাদের চেষ্টা চালানো উচিত।
তবে মিত্রদেশগুলোর এই চাপকে উপেক্ষা করে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আপনাদের স্মৃতিশক্তি কী নষ্ট হয়ে গেছে? আপনারা এত তাড়াতাড়ি গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হত্যাযজ্ঞের কথা ভুলে গেছেন? যা ছিল হলকাস্টের পর ইহুদিদের বিরুদ্ধে চালানো সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ।’
হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জনের বেশি ইসরায়েলি হামাসের হাতে জিম্মি হয়। ওই দিন থেকেই হামাসকে নির্মূল করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে, সেখানকার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।