ভাসমান বন্দর নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জাহাজ গাজার পথে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সমুদ্র পথে গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ পাঠাতে গাজা উপকূলে একটি ভাসমান বন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে বন্দর নির্মাণের সরঞ্জাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি জাহাজ মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওয়ানা হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শনিবার ভার্জিনিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সাহায্যকারী জাহাজ জেনারেল ফ্রাঙ্ক এস বেসন রওয়ানা হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমুদ্র পথে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে গাজা উপকূলে একটি ভাসমান বন্দর নির্মাণের কথা বলেন। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান চলছে। ৫ মাস পেরিয়ে যাওয়া এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য এবং সেখানে শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। ভূমি এবং আকাশ পথে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কঠিন এবং বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
নিজেদের ত্রাণ বহরে গুলি এবং লুটপাটের ঘটনায় বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প (ডব্লিউএফপি) গাজায় তাদের ত্রাণ বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। এদিকে, গত শুক্রবার আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের প্যাকেটের আঘাতে গাজায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ত্রাণের প্যাকেটে বাঁধা প্যারাস্যুট ঠিক মত না খোলায় দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনা ঘটেছে।
বন্দর নির্মাণ সরঞ্জাম নিয়ে জাহাজ পাঠানোর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে এক পোস্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণা দেওয়ার ৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ গাজার পথে রওয়ানা হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ভাসমান বন্দর নির্মাণে তাদের সর্বোচ্চ ৬০দিন সময় লাগবে। এ কাজে ১ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। যদিও তাদের কেউই গাজা তীরে যাবে না।
আরো পড়ুন: পশ্চিম তীরে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে ইসরায়েলি বসতি
নানা মানবাধিকার সংগঠন থেকে বলা হচ্ছে, ঘাঁট নির্মাণে যে ২ মাস সময় লাগবে, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং অনাহার পীড়িত মানুষদের পক্ষে ততদিন অপেক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন।