×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
   

যুদ্ধের কারণে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৩৩০ জনকে সেদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে কক্সবাজারে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ ওই ৩৩০ সদস্যকে বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়ার ইনানী উপকূলের নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকা দিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি জানিয়েছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর ওই সদস্যদের কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের ঘুমধুমের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছিল। হস্তান্তরের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ১২টি বাসে করে তাতের ইনানী উপকূলে নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় আনা হয়েছে।

তাদের নিয়ে যেতে মিয়ানমার নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান করছে। পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলীতে করে পৌঁছে দেয়া হবে গভীর সাগরে নোঙর করা মিয়ানমারের জাহাজটিতে। সেখানেই হবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া।

বিজিবি মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ দুই দেশের কর্মকর্তারা এ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। হস্তান্তর প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে নৌবাহিনীর জেটি ঘাট এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি কোস্ট গার্ড সদস্যরা নিয়োজিত আছেন সেখানে।

এর আগে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে মিয়ানমারের ৩টি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।

তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) একজোট হয়ে শান, রাখাইন, চীন ও কেয়াহ রাজ্যে লড়াই চালাচ্ছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট তারা ইতিমধ্যে দখল করে সাফল্য দেখিয়েছে।

আরাকান আর্মি (এএ) এ জোটের অন্যতম অংশ। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র বাহিনী এটি। তারা রাখাইনের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে।

এদিকে যুদ্ধে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এদের সংখ্যা অন্তত ৩৩০ জন।

শুরুতে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয় বান্দরবানের একটি স্কুলে। পরে তাদের একটি অংশকে সরিয়ে নেওয়া হয় টেকনাফে। সেখান থেকে তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের তরফ থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মিয়ানমারও তাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে।  

কিছুদিন আগে ভারত যেভাবে মিয়ানমারের সৈন্যদের ফেরত পাঠিয়েছিল, সেই অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসনের জন্য বিজিপি সদস্যদের আকাশপথে ফেরত পাঠানোর কথা বলেছিল বাংলাদেশ। তবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে মিয়ানমারের প্রস্তাবে তাদের নৌপথে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App