ড্রয়ারে ৫০ বছর গান্ধীর চশমা! তুমুল হৈচৈ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২০, ০৬:১৬ পিএম

মহাত্মা গান্ধী

মহাত্মা গান্ধী

গান্ধীর চশমা
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা, সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধীর সেই চশমার হদিশ মিলেছে ব্রিটেনে। দেশেটির ম্যাঙ্গোসফিল্ড এলাকার বয়স্ক এক ব্যক্তির বাসার ড্রয়ারে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পড়েছিল চশমা জোড়া। লকডাউনের সময় বাসা পরিষ্কার করতে গিয়ে চশমা জোড়া খুঁজে পান ওই ব্যক্তি।
সেই চশমা জোড়া নিলামে আড়াই কোটি টাকার (২ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড) বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতা ওই ব্যক্তির কল্পনাতেও ছিল না যে, চশমা জোড়ার দাম এতো উঠতে পারে। গত শুক্রবার মাত্র ছয় মিনিটের টেলিফোন নিলামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সংগ্রাহক চশমা জোড়া কিনে নিয়েছেন।
নিলামকারীর নাম অ্যান্ড্রু স্টো। তিনি বলেছেন, ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউজের জন্য এটা একটা রেকর্ড। ধারণা করা হয়েছিল, চশমা জোড়া সর্বোচ্চ ১৫ হাজার পাউন্ডে (১৫ লাখ টাকারও বেশি) বিক্রি হতে পারে। কিন্তু সেটি দাম যে এতো বেশি হবে, তা ভাবেননি বিক্রেতা।
[caption id="attachment_238573" align="aligncenter" width="700"]
অ্যান্ড্রু স্টো জানিয়েছেন, চশমার মালিক ম্যাঙ্গোসফিল্ড এলাকার সেই বয়স্ক ব্যক্তির এক আত্মীয় ১৯২০ সালের দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর থেকে কয়েক প্রজন্ম ধরে চশমা জোড়া তার পরিবারে রয়েছে। নিজের জিনিসপত্র বিলিয়ে দেয়ার খ্যাতি ছিল গান্ধীর।
অ্যান্ড্রু স্টো জানান, চশমা জোড়া খুঁজে পাওয়ার পর মালিক নিলাম করার জন্য অ্যান্ড্রু স্টোর নিলাম প্রতিষ্ঠানকে দেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন, চশমা জোড়া এমন কেউ কিনুক, যিনি এর ঐতিহাসিক মূল্য বুঝবেন।
স্টো আরো বলেছেন, এটা ব্যতিক্রমী একটা ফলাফল। এই চশমা জোড়া শুধু আমাদের জন্য বিক্রির রেকর্ড তৈরি করেনি, এটার আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক গুরুত্বও তুলে ধরেছে।
সাদা একটি এনভেলপের ভেতর ঢোকানো চশমা জোড়া ইস্ট ব্রিস্টল নিলাম হাউজের চিঠিপত্রের বাক্সে শুক্রবার রাত থেকে পড়ে ছিল। সোমবার সকালে খামটি খোলা হয়। এটা খুব সহজেই চুরি হয়ে যেতে পারতো। ভেঙে যেতে পারতো অথবা হয়তো আবর্জনার বাক্সেও চলে যেতে পারতো।
[caption id="attachment_238572" align="aligncenter" width="900"]
তবে চশমা জোড়ার দাম সম্পর্কে মালিকের কোনো ধারণাই ছিল না। যখন তাকে বলা হয় যে, এটার মূল্য হয়তো ১৫ হাজার পাউন্ড হতে পারে, তখন তার প্রায় হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছিল। কেননা, পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় সেটা ড্রয়ারেই পড়ে ছিল।
এর মালিক অবশ্য বলেছিলেন, এটা যদি বিক্রি করা না যায়, তাহলে যেন ফেলে দেয়া হয়। আর এখন চশমার মালিক জীবন বদলানোর মতো টাকা পাচ্ছেন। নিলাম থেকে পাওয়া টাকা মেয়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন বলেও জানিয়েছেন চশমা জোড়ার বিক্রেতা।