শত শত হাতির রহস্যজনক মৃত্যু, ভাইরাস নয় তো!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ০৫:৫৭ পিএম

সংগৃহীত ছবি।
আফ্রিকার মোট হাতির এক-তৃতীয়াংশ রয়েছে বতসোয়ানায়। সেখানে গত দুই মাসে শত শত হাতির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। হাতির মৃত্যুর এই 'অভূতপূর্ব' ঘটনার কারণ ভাইরাস নয় তো! সে সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি।
মে মাসের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশটি ওকাভাঙ্গো ব-দ্বীপে ৩৫০টির বেশি হাতির মরদেহ দেখা গেছে। প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা চলছে, যেই রিপোর্ট আরো সপ্তাহখানেক পরে পাওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউর কর্মকর্তা নিয়াল ম্যাককান বিবিসিকে জানায়, পরিবেশ সংরক্ষণবাদীরা মে মাসের শুরুর দিকে ব-দ্বীপের ওপর দিয়ে বিমান ভ্রমণ করার সময় কিছু হাতির মরদেহ চোখে পড়লে বসতোয়ানার সরকারকে বিষয়টি জানায়।
তিনি বলেন, তারা ওই অঞ্চলের ওপর দিয়ে তিন ঘণ্টার একটি ফ্লাইটে যাওয়ার সময় ১৬৯টি হাতির মরদেহ দেখে। তিন ঘণ্টার ফ্লাইটে ওই পরিমাণ হাতির মরদেহ দেখতে পাওয়া খুবই অস্বাভাবিক।" ঘটনার এক মাস পর তদন্ত করে তারা আরো অনেকগুলো মরদেহ দেখতে পান। মোট সংখ্যাটি ৩৫০এর বেশি।
মি. ম্যাককান বলেন, খরা বাদে কোন একটি একক কারণে এত বিপুল পরিমাণ প্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় না। অ্যানথ্রাক্স বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন ড. ম্যাককান। গত বছর অ্যানথ্রাক্স বিষক্রিয়ায় বতসোয়ানায় ১০০'র বেশি হাতি মারা গিয়েছিল।
ড. ম্যাককান বলেন, সেখানে শুধু হাতিই মারা যাচ্ছে, অন্য কোন প্রাণী নয়। যদি চোরাশিকারিদের হাতে হাতিগুলো মারা যেতো, তাহলে হাতি বাদে অন্য আরো পশুও মারা যেতো। এমনকি হাতিগুলোর দাঁত কেটে নেয়া হয়নি।
ড. ম্যাককানের মতে, অনেকগুলো হাতিকেই মুখ থুবড়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে এবং অন্য হাতিগুলোকে চক্রাকারে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে, তাদের স্নায়ুবিক প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আশঙ্কা করে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এখন প্রাণীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি পরিবেশগত বিপর্যয় - তবে এটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক দুর্যোগেও পরিণত হতে পারে।