মোবাইল নষ্ট, অনলাইন ক্লাসে থাকতে না পেরে আত্মহত্যা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২০, ০৬:০২ পিএম

কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীর দাদা
পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ভয়ে হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দার ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। এদিকে লকডাউনের ফলে তার মা-বাবা আটকে পড়েন বিহারে।
শিবানীর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, সে বালির লিটল বার্ডস নামে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। তার স্কুলে অনলাইন ক্লাস চালু হয়ে গিয়েছিল কিন্তু মোবাইল ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় সে অনলাইন ক্লাস করতে পারছিল না। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতে পারে এই আশঙ্কায় সে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করে। পরিবারের লোকের ধারনা সম্ভবত এই কারণেই গলায় দড়ি দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
শিবানীর বাবা, মা ও ভাই বিহারের সমস্তিপুরে দেশের বাড়ি গিয়েছিলেন। লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে পড়েন। হাওড়ার নিশ্চিন্দার রাজচন্দ্রপুরের প্রফুল্লনগরে ভাড়া বাড়িতে তার দাদার সঙ্গেই ছিল শিবানী। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে তার দরজায় কড়া নাড়ার পর কোন সাড়া না মেলায় এলাকার লোকজন এসে দরজা ভেঙে দেখেন জানালা থেকে ওড়নার ফাঁস গলায় দিয়ে ঝুলছে শিবানী।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিন সকালে বিহার থেকে হাওড়ার নিশ্চিন্দায় গাড়ি ভাড়া করে চলে আসেন শিবানীর বাবা। তিনি জানান, লকডাউনে আটকে না গেলে মেয়েকে তিনি মোবাইল ফোন কিনে দিতেন।