যুক্তরাষ্ট্রেও মুসলমানদের আস্থা হারিয়েছেন বাইডেন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৩ এএম

ছবি: ডেইলি সাবাহ

ছবি: ডেইলি সাবাহ
অবরুদ্ধ গাজা ইসরায়েলি বর্বরতায় মদদ দেয়ায় বিশ্বের অন্য দেশের মুসলিমদের মতো মার্কিন মুসলিম সম্প্রদায়ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর চরম অসন্তুষ্ট।
এ কারণে আসন্ন নির্বাচনে তারা আর বাইডেনের উপর আস্তা রাখতে পারছেন না।
ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যায় অস্ত্র, অর্থ ও সমর্থন দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা বাইডেনের উপর থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। খবর ডেইলি সাবাহ’র।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে, বিশেষ করে মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও ফ্লোরিডার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যেগুলোতে বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে।
তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #অ্যাবানডনবাইডেন প্রচারণাও শুরু করেছে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের বিরোধীরা।ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে নিরপরাধ মানুষের প্রাণ রক্ষায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোতে অনীহা প্রকাশ করার কারণে আগামী ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বাইডেনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের উদ্যোগ হিসেবে #অ্যাবানডনবাইডেন প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাইডেনবিরোধী প্রচারণা চালানো গোষ্ঠী মিনেসোটার কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনের (সিএআইআর) পরিচালক জায়লানি হোসেইন বলেন, ‘আমাদের হাতে কেবল দুটি অপশন নয় অনেকগুলো অপশন রয়েছে।’ মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এই কথা বলেন।
অন্যদিকে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরুর দিকে মার্কিন শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ফিলিস্তিনবিরোধী অপপ্রচারকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মুলমানরা। ইসলাম ফোবিয়ার কারণে মিডিয়াতে বিভিন্ন পক্ষপাতমূলক সংবাদ এসেছে যেটি মার্কিন প্রশাসন ইচ্ছা করেই নিয়ন্ত্রণ করেনি। এটিকেও ভালোভাবে নেয়নি মুসলমানরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল মুসলমান ও আরব মার্কিন নাগরিক রয়েছেন। প্রায় ৩৫ লাখ মুসলিমের বসবাস এখন যুক্তরাষ্ট্রে। এ কারণেই সত্যিকার অর্থেই আগামী নির্বাচনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন।
কারণ সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ‘ইলেক্টোরাল বডি’র মাধ্যমে। আবার এই ইলেক্টোরাল বডি নির্ধারণ করে দেয় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো। তবে দেশটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারেন।