গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাল ব্রিকস

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ দেশের জোট ব্রিকস জোটের নেতারা। তারা এ হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকট কমাতে উভয় পক্ষের সংঘাত বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। খবর: আল-জাজিরার।
ব্রিকসের নেতারা মঙ্গলবার এক ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয় সম্মেলনে। গাজার মধ্যে বা বাইরে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করাকে জোটের অনেক নেতা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
সম্মেলন শেষে জোট কোনো যৌথ ঘোষণা দেয়নি। তবে সম্মেলনের সভাপতির সারসংক্ষেপে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে যেকোনো ধরনের একক বা ব্যাপক জোরপূর্বক স্থানান্তর ও বিতাড়নের নিন্দা জানাই আমরা।
সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, জোট বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে যে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও বিতাড়ন, তা গাজার অভ্যন্তরে হোক বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে হোক, সেটা জেনেভা কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ব্রিকস জোট গঠিত। তারা দীর্ঘদিনের পশ্চিমা আধিপত্যের বিপরীতে একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষায় রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিকস সদস্য বাড়াতে সম্মত হয়। তারা আর্জেন্টিনা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সদস্য হিসেবে জোটে যুক্ত করতে রাজি হয়েছে। ব্রিকসে এই ছয় দেশের সদস্যপদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হবে। এই ছয় দেশের নেতারাও দক্ষিণ আফ্রিকার ডাকা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তারাও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন। সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও যোগ দিয়েছিলেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, হামাসের এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তিকে ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রেখেছে হামাস।