গাজার উদ্বাস্তুদের জন্য ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার চাইল জাতিসংঘ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:২১ এএম

ছবি: আলজাজিরা
যুদ্ধ কবলিত গাজায় উদ্বাস্তু বেসামরিক মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার চেয়েছে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনি রেফিউজি ইন দ্য নেয়ার ইস্ট-ইউএনআরডব্লিউএ।
বুধবার এক লিখিত বিবৃতিতে এ কথা জানান সংস্থাটি। খবর আল জাজিরার।
ইউএনআরডব্লিউএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, পশ্চিম তীর ও গাজায় আমাদের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আগে থেকেই প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত কয়েক দিনে এই শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আরও আড়াই লাখেরও বেশি শরণার্থী। নতুন যোগ হওয়া এই শরণার্থীদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সুরক্ষার জন্য এই অর্থ চাইছি আমরা।
দুই বছর ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শেষে ৮ অক্টোবর শনিবার ভোর রাত থেকে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়া শুরু করে হামাস। হামাসের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রের বরাতে জানা যায়, শনিবার সূর্যের আলো পুরোপুরি ফোটার আগেই ৩ হাজারেরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছিল ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে। প্রায় একই সময়ে মোটরচালিত প্যারা গ্লাইডারে চেপে হামাসের বেশ কয়েকজন যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমাণ্ডের কার্যালয়ে গিয়ে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বন্দি ও জিম্মি করার পাশাপাশি ওই কমান্ডের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মূল কমান্ড ও অন্যান্য শাখার কার্যালয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মোটরসাইকেল ও জীপে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করেন হামাসের আরও কয়েক শ’ যোদ্ধা।
গোয়েন্দা তথ্যের ঘাটতি ও পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে হামাসের হামলার পর প্রথম দিকে খানিকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল ইসরাইল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই যুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে ফিরে আসে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে আল আকসা অঞ্চলে।
ইসরাইল সরকার ইতিমধ্যে হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।