ভাগনার প্রধানের মৃত্যু নিশ্চিত করল মস্কো

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম

ইয়েভগেনি প্রিগোশিন
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়া।
গত বুধবার সন্ধ্যায় রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। সেই উড়োজাহাজের যাত্রীদের তালিকায় প্রিগোশিনের নাম ছিল।
নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষায় প্রিগোশিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে রবিবার (২৭ আগস্ট) রাশিয়ার একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি তাদের টেলিগ্রাম অ্যাপে এক বিবৃতিতে বলেছে, তিভিয়ের অঞ্চলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তের অংশ হিসাবে মলিকুলার-জেনেটিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এই পরীক্ষার ফলে নিহত ১০ জনেরই পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিমানের যাত্রী তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের সঙ্গে এর মিল পাওয়া গেছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে রীতিমত হইচই পড়ে যায়। তৈরি হয় ধোঁয়াশা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটিয়েছেন এমন অভিযোগ ওঠে। আবার প্রিগোজিন সত্যিই মারা গেছেন কি না, তা নিয়ে সামান্য হলেও সংশয় ছিল।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছিল, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রিগোজিন মারা যাওয়ার আশংকাই বেশি। তবে তিনি যে বিমানে ছিলেন তেমন অকাট্য কোনও প্রমাণ নেই।
ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে ভাড়া খাটা ওয়াগনার বাহিনী গত জুনে প্রিগোজিনের নেতৃত্বে মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। এ বিদ্রোহের কারণে পুতিনের সঙ্গে প্রিগোজিনের সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। এর দু’মাস পরই ঘটে এ বিমান দুর্ঘটনা। এরপর থেকেই প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা শুরু হয় এবং সন্দেহের তীর ছোড়া হয় পুতিনের দিকেই। তবে ক্রেমলিন প্রিগোজিনকে হত্যায় পুতিনের হাত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছিল তারা।
রাশিয়ার কুশিওনকেনা গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ছিল সাত যাত্রী ও তিন ক্রু। যাত্রীদের মধ্যে ওয়াগনারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সদস্য ছিলেন। রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সাত যাত্রীর নাম জানিয়ে বলেছিল, তারা হলেন- ইয়েভগেনি প্রিগোজিন, তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিন, সের্গেই প্রপুস্টিন, ইয়েভজেনি মাকারান, আলেকসান্দার ততমিন, ভ্যালেরি চেকালভ এবং নিকোলাই মাতুসিয়েভ। আর ক্রু সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন আলেক্সি লেভশিন, সহ-পাইলট রুস্তাম কারিমভ এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ক্রিস্তিনা রাসপোপোভা।
বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী কোনও না কোনওভাবে জড়িত বলে জল্পনা আছে। ওদিকে, সিবিএস বার্তা সংস্থা মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, বিমান বিধ্বস্তের সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ হচ্ছে সেটিতে বিস্ফোরণ ঘটা।