রাহুল প্রসঙ্গ: বৈঠকে কংগ্রেস নেতারা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:০৮ এএম

ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সংসদ সদস্য পদ হারানোর খবরে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কূটকৌশল স্থির করতে বসেছেন ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীসহ কংগ্রেসের একাধিক নেতানেত্রী। বৈঠকের কিছু দিক প্রসঙ্গে এক নজরে দেখে আসা যাক-
রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজ করে দেয়ার ঘটনাটি ভারতের রাজনীতির পারদকে তুঙ্গে উঠিয়ে দিয়েছে। হাইভোল্টেজ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে, ২০১৯ সালের এক মানহানির মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন সুরাটের একটি আদালত। সেই মামলায় রাহুল গান্ধীর দুই বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজ করে দেয়া হয়। লোকসভার সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
১. বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি. চিদাম্বরম, জয়রাম রমেশ ও কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা, কেসি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, রাজীব শুক্লা ও তারিক আনোয়ার, সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা, অম্বিকা সোনি, মুকুল ওয়াসনিক, সালমান খুরশিদ ও পবন কুমার বনসাল সহ অনেকে।
২. এদিন লোকসভার সচিবালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ করা হলো। সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী, কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছর বা তার বেশি সাজা পেলে তার সংসদীয় পদ হারাতে পারেন তিনি। সেই বিধি অনুযায়ী রাহুলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ আসে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালের এক মামলায় ‘মোদি’ পদবী ঘিরে এক মন্তব্যের জেরে রাহুলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন সুরাট আদালত। সেই মামলায় আপাতত এক মাসের জামিন পেয়েছেন রাহুল গান্ধী।
৩. সংসদ সদস্য পদ হারানোর প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, আমি দেশের কণ্ঠের জন্য লড়াই করছি। এর জন্য কোনো রকমের মূল্য দিতে আমি প্রস্তুত।
৪. নরেন্দ্র মোদি গড় গুজরাট প্রদেশের সুরাট জেলা আদালতের রায়ের প্রেক্ষাপটে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ একাধিক বিরোধী নেতানেত্রী এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন।