ভারতের দাগি সন্ত্রাসীদের নিরাপদ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র! সঙ্গী ভুয়া পাসপোর্ট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
খুনখারাবি, চাঁদাবাজি, বলিউড তারকা থেকে শুরু নামিদামি লোকজনকে হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত ভারতের কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য এবং তালিকাভুক্ত অন্য সন্ত্রাসীরা নিরাপদ আত্মগোপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে।
এনডিটিভি বলছে, কয়েক মাস আগে দিল্লির একটি সেলুনে জোড়া খুনের ঘটনায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ।
গুলি চালাতে সিদ্ধহস্ত হর্ষ ওরফে চিন্টু নামের গ্রেপ্তার ওই সন্ত্রাসী পুলিশকে জানিয়েছেন, ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে ‘ডানকি’ রুট ধরে তাদের অপরাধজগতের অনেক সঙ্গী আমেরিকায় পৌঁছাচ্ছে।
অভিবাসনের জন্য যে অবৈধ পথে মানুষ ব্যবহার করে, তাকে ‘ডানকি’ বলা হয়।
এই প্রক্রিয়ায় গোল্ডি ব্রার, আনমোল বিষ্ণোই, রোহিত গোদারা, মন্টি মান এবং পবনের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ২২ বছর বয়সী হর্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেকটি ভুয়া পাসপোর্ট জোগাড়ের জন্যই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন বলে পুলিশের কর্তাদের দাবি।
হর্ষর ভুয়া পাসপোর্টের একটি ছবিও পেয়েছে এনডিটিভ, যেখানে তার নাম লেখা হয়েছে প্রদীপ কুমার। আর পাসপোর্টটি গত ২৬ মার্চ পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ বলছে, হর্ষ গত ৯ জুন অমৃতসর বিমানবন্দর হয়ে ভারত ছেড়ে শারজাহ যান এবং ২৭ অগাস্ট আজারবাইজান যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। আজারবাইজানে তিনি কয়েক মাস ছিলেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির একটি সেলুনে খদ্দেরদের সামনেই গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় সোনু তেহলান ও আশীষ তেহলান নামের দুই ব্যক্তিকে। ঘটনার পর হত্যাকারীরা মুহূর্তেই উধাও হয়ে যায়।
ওই হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্তে সঞ্জীব কুমার অথবা সাঞ্জু দাহিয়া এবং হর্ষর নাম উঠে আসে, যারা ওইদিন গুলি ছুড়েছিলেন।
পুলিশের তালিকাভুক্ত এই দুই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আগেরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
দুজনকে ধরিয়ে দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার রুপি ঘোষণা করা হয়। হর্ষকে ধরতে পরোয়ানা জারির পাশাপাশি বিমানবন্দরেও সতর্কতা জারি করেছিল পুলিশ।
ধারণা করা হয়, হর্ষর বিষয়ে তথ্য ফাঁস করার জন্য সেলুনে দুই জনকে হত্যা করেন তিনি।
হর্ষ এক সময় আরেক গ্যাংস্টার যোগেশের (ওরফে টুন্ডা) নির্দেশে কাজ করতেন। এই যোগেশ তার নেতার হত্যার পরে ‘গোগি গ্যাংয়ের’ দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
হর্ষ চাঁদাবাজির সাথের জড়িত ছিলেন বলেও জানা গেছে এবং এর আগে একটি চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি দিল্লির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া এবং যোগেশের নামে অর্থ আদায়েও জড়িত ছিলেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।