চোখের চিকিৎসায় দেশে আসল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ০৮:০২ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
চোখের চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনল অপটিকস ও অপটোইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজিতে শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জায়েস। ভিজ্যুম্যাক্স ৮০০ এবং কোয়াটেরা ৭০০ নামের এ প্রযুক্তি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। জায়েস ও বাংলাদেশ আই হসপিটাল যৌথভাবে ‘অপথালমিক কনক্লেভ ২০২৩’নামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আই হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী,অনুষ্ঠানে কার্ল জায়েস ইন্ডিয়া (ব্যাঙ্গালোর) প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিগুয়েল গঞ্জালেজ ডিয়াজ,জায়েস গ্রুপের সার্ক অঞ্চলের রিজিওনাল হেড বিকাশ সাক্সেনা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভিজ্যুম্যাক্স ৮০০ একটি যুগান্তকারী ফেমটোসেকেন্ড লেজার প্ল্যাটফর্ম, যা চোখের বিভিন্ন চিকিৎসা নির্ভুল ও নিরাপদ প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করতে সহায়তা করে। এর উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর ডিজাইনের ফলে সার্জনরা আরও নির্ভরযোগ্যতার সাথে স্বল্প সময়ে ল্যাসিক এবং স্মাইলের মতো কর্নিয়াল রিফ্র্যাক্টিভ সার্জারি সম্পন্ন করতে পারবেন। অভিনব এই ডিভাইসটি রোগীদের স্বাচ্ছন্দ্য, দ্রুত আরোগ্য লাভ ও দৃষ্টির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসার অগ্রগতিতে জায়েসের ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকে এই উদ্যোগ বেগবান করবে। ভিজ্যুম্যাক্স ৮০০ এর সাথে রয়েছে সার্জিক্যাল মাইক্রোস্কোপ কোয়াটেরা ৭০০, যা অনন্য কার্যকরিতা ও মানসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আধুনিক সার্জারির বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সহায়তা করে। মাইক্রোস্কোপটি মানসম্পন্ন ইমেজ দেওয়ার পাশাপাশি ডেপথ পারসেপশন বৃদ্ধি ও উন্নত ভিজ্যুয়ালাইজেশন দিতে সক্ষম। চোখের ছানি অপারেশনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশেষ মাইলফলক। এতে রয়েছে জায়েসের পেটেন্ট করা কোয়াট্রো পাম্প, যা আইওপি ও ফ্লোয়ের উপর নির্ভর না করেই চেম্বার স্ট্যাবিলিটি বজায় রাখতে পারে। এর ডিজিটালি ইন্টিগ্রেটেড সার্জিক্যাল ওয়ার্কফ্লো অন্যান্য ডিভাইস থেকে ডেটা নিয়ে জায়েসের ক্যাটার্যাক্ট ওয়ার্কফ্লো-এর সাথে সমন্বয় করে। এই প্রক্রিয়ার ফলে জায়েস কোয়াটেরা ৭০০ ছানি অপারেশনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের জন্য সিঙ্গেল স্টেরাইল ককপিট হিসেবে কাজ করে। ফ্যাকো সার্জারিতে এর ফলে পাওয়া যায় সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা। এর বিশেষ ডিজাইন সার্জিক্যাল ওয়ার্কফ্লোকে আরও বেশি কার্যকর করে তোলে। এমনকি জটিল সমস্যাতেও এটি উপযোগী রোগীদের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আশা করি জায়েস বাংলাদেশে উন্নত সেবা দেবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সবধরনের সহযোগিতা করবে। তবে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি আনার পাশাপাশি তাদেরকে এখানে গবেষণা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।