সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম

সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
দেশে যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) একটি পুলিশ প্রতিবেদন তুলে ধরে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্ম-বর্ণ, জাতি-নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগ পেতে পুলিশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ খুলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতীয় জরুরি পরিষেবা যখনই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে ৯৯৯ হেল্পলাইন নম্বরে জানানো হয়, ঠিক তখনই একটি কাছাকাছি বাহিনীকে সংযুক্ত করে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশ সব ধরনের অভিযোগের সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান উপ প্রেস সচিব।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাগুলোর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পত্তি ও উপাসনালয়ে ২ হাজার ১০টি ঘটনা রয়েছে।
কাউন্সিলের তৈরি করা অভিযোগের তালিকা হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সহিংসতার শিকার বলে দাবি করা ব্যক্তি এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা।
কাউন্সিলের রিপোর্টে উল্লেখিত সকল স্থান, স্থাপনা পরিদর্শন ও ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে পুলিশ। সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্যাতিত মানুষের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী নিয়মিত মামলা, সাধারণ ডায়েরিসহ অন্যান্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।