রমজানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ পিএম

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : ভোরের কাগজ
আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ এবং শিল্প এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কনফারেন্সর সমাপনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও মতামত আগামীদিনে সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন : অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে মাঠ প্রশাসনকে কাজ করার নির্দেশ
তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে কথা বলার এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, সামনেই রমজান আসছে, রমজানকে কেন্দ্র করে বাজার মূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু বাজার মূল্য নয়, জিনিসপত্র আনা নেয়া আরো কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়েও কাজ করবেন।
তিনি আরো বলেন, সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার যে ১৫টি কমিশন গঠন করেছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন খুব শীঘ্রই তাদের রিপোর্ট প্রদান করবে। এসব প্রতিবেদনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, নাগরিকদের সঙ্গেও আলোচনা হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে নির্বাচনের একটি আবহও তৈরি হবে।
রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া কি হবে সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা, যাতে করে শান্তিপূর্ণভাবে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যায়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। তিনি জানান, শীঘ্রই প্রধান উপদেষ্টা বাকি চার বিভাগের ৩৩টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিবেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে ১৯ জন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।