পাকিস্তান থেকে আমদানি বেড়েছে, কমেছে ভারত থেকে

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ এএম

ভারত এখনো বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানির উৎস। ছবি : সংগৃহীত
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ২৭ শতাংশ বেড়েছে, তবে ভারত থেকে আমদানি নয় দশমিক ৪৮ শতাংশ কমেছে।
পাকিস্তান থেকে পোশাক ও কাচশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক, এবং পেঁয়াজ-আলু আমদানি হয়। প্রথম প্রান্তিকে পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়েছে ১৭৯ দশমিক চার মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি।
অন্যদিকে, ভারত থেকে আমদানি ২,০৫২ দশমিক এক মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় কম।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নতি ও বাণিজ্য বৃদ্ধির ফলে আমদানি বেড়েছে। করাচি-চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল এ উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে, ভারত এখনো বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানির উৎস। চীনের পরই দেশটি থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পরিমাণে পণ্য আমদানি করে থাকে।
ভারত থেকে আমদানি কমার পেছনে বিনিয়োগ পরিবেশের অবনতি ও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব থাকতে পারে। বিশেষত, ভিসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিক না হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান থেকে টেক্সটাইল ও খাদ্যসামগ্রী আমদানি বাড়ছে। ভবিষ্যতে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হতে পারে।
আরো পড়ুন : আবারো পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে এলো সেই জাহাজ
পাকিস্তানের করাচি থেকে ফের একটি পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশের চট্রগ্রামে আসছে। গত মাসে পণ্য নিয়ে প্রথম এসেছিল পাকিস্তানি জাহাজ। বাংলাদেশে এর আগে পাকিস্তানের জাহাজ নোঙর করেনি।
মুহম্মাদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য বাড়াতে নেয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য অন্যতম। তার দায়িত্ব নেয়ার সাড়ে চার মাসের মধ্যে একমাত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গেই ইউনূস দু'বার সাক্ষাৎ করেছেন। আগামী বছরে শুরু দিকে ঢাকা সফরে আসতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১-এর সংঘাত, যুদ্ধের অতীত পাশ কাটিয়ে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে এগিয়ে যেতে চাইছেন দুই দেশের সরকার প্রধান। পাকিস্তানের সঙ্গে শুধু বাণিজ্য নয়, শিক্ষা, সংস্কৃতিতেও মৈত্রী স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বৈঠকে সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের যোগাযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।