জর্জিয়ায় ইইউ যোগদানের আলোচনা স্থগিত, বিক্ষোভে সহিংসতা ও দমন-পীড়ন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জর্জিয়া সরকার সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের আলোচনা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন স্থানে চলমান বিক্ষোভে সহিংসতা ও দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
অধিকার গোষ্ঠী ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভে ৪০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে ‘গণ সহিংসতায়’ জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৫২ বছর বয়সী গিরগি তেরিশভিলি নামক এক ট্যাক্সি চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মা মারিনা জানিয়েছেন, তার বড় ছেলে মামুকা ১৯৯২ সালে একটি জাতীয়তাবাদী সমাবেশে নিহত হয়েছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশ তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করেছে, যার বিরুদ্ধে তারা আতশবাজি ও অন্যান্য বস্তু ছুঁড়ে মেরেছে। তবে, একটি মুখোশধারী গ্রুপকে হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে, যাদের লক্ষ্য ছিল প্রখ্যাত বিরোধী নেতা এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করা।
এদিকে, শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি ইইউ আলোচনা স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং শান্তি রক্ষার জন্য একটি বাস্তববাদী পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
পশ্চিমা দেশগুলো এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ইইউ জর্জিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। তবে, ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বিরোধী দল সরকারকে কলঙ্কিত করার জন্যই এই হামলা চালাচ্ছে।
জর্জিয়ার ওম্বাডসম্যান লেভান ইয়োসেলিয়ানি জানিয়েছেন, তিনি ৩২৭ জন বন্দির অবস্থা পরিদর্শন করেছেন, যাদের মধ্যে ২২৫ জন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন এবং ১৫৭ জনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে এবং জর্জিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।