ইউক্রেনকে পারমাণু অস্ত্র দেয়ার ব্যাপারে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ইউক্রেনের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র ফেরত দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। সুলিভান বলেন, আমরা এমন কিছু বিবেচনা করছি না। আমরা যা করছি তা হলো, ইউক্রেনকে প্রচুর প্রচলিত অস্ত্র সরবরাহ করা, যাতে তারা নিজেদের কার্যকরভাবে রক্ষা করতে পারে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। তবে তাদের পারমাণবিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিছু অজ্ঞাত পশ্চিমা কর্মকর্তা ধারণা করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন। তবে এই খবরকে সুলিভান সরাসরি নাকচ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা যা করছি তা হলো পারমাণবিক সক্ষমতা না দিয়েই ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রথাগত ক্ষমতা বাড়ানো, যাতে তারা কার্যকরভাবে আত্মরক্ষা করতে পারে এবং যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করতে পারে।
এদিকে, রাশিয়া এই ধারণাকে "সম্পূর্ণ উন্মত্ততা" বলে মন্তব্য করেছে। মস্কো দাবি করেছে, এমন একটি পরিস্থিতি প্রতিরোধ করাই ইউক্রেনে তাদের সামরিক অভিযানের অন্যতম কারণ।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেন উত্তরাধিকারসূত্রে পরমাণু অস্ত্র পেয়েছিল। তবে ১৯৯৪ সালের বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম চুক্তির অধীনে, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের কাছ থেকে নিরাপত্তা আশ্বাসের বিনিময়ে ইউক্রেন এসব অস্ত্র জমা দিয়ে দেয়।
অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস পূর্বঘোষণা ছাড়াই সম্প্রতি ইউক্রেন সফর করেছেন। এই সফরে চলতি মাসে কিয়েভকে ৬৮৩ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার শলৎস ইউক্রেন সফরে যান। এটি রুশ অভিযানের শুরু হওয়ার পর শলৎসের দ্বিতীয় সফর। শলৎসের সফর এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শলৎস কিয়েভ সফর নিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখেন, আমি আজ রাতে ট্রেনে করে কিয়েভ ভ্রমণ করছি। এটি এমন একটি দেশ, যারা এক হাজার দিনেরও বেশি সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করে আসছে। তিনি আরো লেখেন, আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, জার্মানি ইউরোপে ইউক্রেনের সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থক হয়ে থাকবে। ইউক্রেন জার্মানির ওপর নির্ভর করতে পারে। আমরা যা করি তা বলি এবং আমরা যা বলি তা-ই করি।